পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কখনো শিব, কখনো মা কালি, কখনো বা কৃষ্ণ সেজে দেখা মেলে তাদের। সস্তা প্রসাধন, খালি পা, কখনও বাড়ি বাড়ি,আবারও কখনও বাজার হাটে দেখা মেলে এই ‘বহুরূপী’দের।
একটু দেখে নেওয়া যাক কিভাবে এই বহুরুপী শব্দটি। শব্দটি এসেছে দুটি সংস্কৃত শব্দের মেলবন্ধন থেকে প্রথমটি হচ্ছে ‘বহু’ যা কিনা আমাদের বাংলাতেও ব্যবহৃত শব্দ মানে ‘নানাপ্রকার’ আর ‘রূপ ‘ যেটির মানে চেহারা, সেই নানাপ্রকার চেহারা যারা ধারন করতে পারেন আর সেই ধারন করা রুপের চাল চলন আচার আচরণের একটু উচ্চকিত প্রয়োগের মাধ্যমে আমাদের মনরঞ্জনের চেষ্টা করে থাকেন তাঁরাই বহুরুপী।
রাধাপ্রসাদ গুপ্তের লেখা থেকেও আমরা এই ‘বহুরূপী’দের কথা পাই। একই ভাবে অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের “ ছিনাথ বহুরুপীকে”ও কি ভোলা যায়? এ ছাড়াও সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে ফুটে ওঠে শিল্পের প্রতি দায়বদ্ধ বিরাগী হরিদাসদের কথা।
পুবের কলম ডিজিটালের চিত্র সাংবাদিক সন্দীপ সাহার লেন্সে দিনভর বন্দী হলেন এমনই এক বহুরূপী। কালীপদ মণ্ডল। তারকেশ্বরে বাড়ি এই কালীপদর। তবে কোথাও যেন একটু হতাশা গ্রাস করে এখন বিনোদনের এত বড় দুনিয়া হাতের মুঠোয় এর ফলে ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন বহুরূপী। শীত গ্রীষ্ম, বর্ষা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও দিনের শেষে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়।