জয়পুর, ২৩ জুন: ঈদগাহের গেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক হিংসা রাজস্থানে। পাথর নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি দোকান, ট্রাক্টর ও একটি বোলেরো গাড়ি পুড়ে যায়। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুক্রবার যোধপুরের সুরসাগর এলাকায় সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে দুই পুলিশ কর্মী-সহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এমনকি ৪-৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাঁটানো হয়। ৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছেন, স্থানীয় ঈদগাহের গেট নির্মাণকে ঘিরে এলাকার বাসিন্দারা গেট তৈরির বিরোধীতা করে। যার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে শুক্রবার পুণরায় গেট তৈরির কাজ শুরু হলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারপরই দু'পক্ষ ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
জলপ্রপাতের স্রোতে ভেসে গেল ৫ জন, উদ্ধার ৩ মৃতদেহ, বাকিদের খোঁজে তল্লাশি
তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকের পর বিজ্ঞাপন শাংসাপত্র নিয়ে সমস্যা সমাধানে আশাবাদী শিল্পসংস্থাগুলি
যাত্রীসহ ট্রেনের বার্থ ভেঙে মৃত্যু প্রৌঢ়ের, চাঞ্চল্য তেলঙ্গানায়
পুণরায় যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়ে ওঠে যে কারণে এলাকায় আর্মড পুলিশ বাহিনীসহ ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া প্রতাপনগর সার্কেল থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আইপিএস নিশান্ত ভরদ্বাজ বলেছেন, সুরসাগর থানা এলাকায় রাজারাম সার্কেলে ইদগাহের মূল গেটের কাছে বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দু'দিন আগে ঈদগাহের পেছনের দেয়াল থেকে দুটি গেট ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়, যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দু'পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দু'পক্ষের ৫০ জনের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।