যৌন কেলেঙ্কারিতে এবার গ্রেফতার প্রজ্জ্বলের ভাই সুরাজ রেভান্না
আজ থেকে দেশ জুড়ে চালু নয়া ফৌজদারি আইন, 'দণ্ডের জায়গায় ন্যায়, দ্রুত হবে বিচারব্যবস্থা': অমিত শাহ
গতকাল ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নিয়ে আজকে বাতিল ঘোষণা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কয়েক ডজন জুতো দড়িতে বেঁধে, তৈরি হল জুতোর মালা। সেই মালা পরিয়ে দেওয়া হল ৬৫ বছরের এক দলিত বৃদ্ধকে। অভিযোগ, ওই দলিত বৃদ্ধ নাকি শ্লীলতাহানী করেছিল। কিন্তু শ্লীলতাহানী করলে পুলিশের দ্বারস্ত হওয়ার কথা। তা না করে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ওই জুতোর মালা পরে গোটা গ্রাম ঘোরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে খবর। পিছনে হাঁটছে গোটা গ্রামের মানুষজন। কচিকাঁচারা আবার ওই ঘটনার রিলস তৈরি করল। আর তারপর সেটা ছড়িয়ে গেল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কোশাম্বির বিরনার গ্রামে। যিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন, তিনি উচ্চবর্ণের মানুষ। নির্যাতিত ওই দলিত বৃদ্ধের নাম প্রেমনারায়ন রবিদাস।
ঘটনাটি কবে ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। দায়ের হয়নি কোনও অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই ঘটনাটি সামনে আসে। তারপর শুরু হয় হৈ চৈ।
এই বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছে নেটিজেনরাও। দলিত নির্যাতন যেন দিন দিন বাড়ছে দেশে। আর উত্তরপ্রদেশে এধরণের ঘটনা সবথেকে বেশি ঘটছে। তালিকায় এরপর রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। যে রাজ্যগুলিতে দলিত নির্যাতন বেড়েছে, তার বেশিরভাগটাই ডবল ইঞ্জিন। বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি এক আদিবাসীর মুখে প্রস্রাব করা হয়। সেই ঘটনাও সাড়া ফেলে দেশ জুড়ে। কবে থামবে এই বর্বরতা? উঠছে প্রশ্ন।