পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ট্রেন দুর্ঘটনায় মসজিদের নির্দেশ পেয়েই যখন ঈদের পরব ছেড়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছিল বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ফাঁসিদেওয়ার মুসলিম অধ্যুষিত নির্মলজোত গ্রাম, তখনই মনুষ্যত্বকে বিসর্জণ দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার সাক্ষী থাকল ওড়িশার বালাশোর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা, বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
ওড়িশায় সদ্য নির্বাচিত বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কালেক্টরের আশিস থ্যাকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। পুলিশকে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বালাসোর প্রশাসন প্রশাসন স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন, স্থানীয় মানুষকে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
'প্রতারণার শিকার, ওদের কথামতো না চললে বুলডোজার নিয়ে আসবে', জমি দখলের অভিযোগে মন্তব্য সাংসদ ইউসুফ পাঠানের
ভারতে কমছে শিশু জন্মের হার, আগামীদিনে ঝুঁকির মুখোমুখি হতে পারে দেশ
ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনেই, গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী আইপিএস অফিসার
পুলিশ সূত্রে খবর, ১৭ জুন মধ্যরাত থেকে ১৮ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই কারফিউ জারি থাকবে। ভূঞাখিয়া পীর এলাকায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখে কিছু স্থানীয় মানুষ। সেই রক্তকে কুরবানির পশুর ‘রক্ত’ বলে উল্লেখ করে সংঘর্ষ বাঁধে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। তার পরেই দু-পক্ষের মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়। সোমবার গভীর রাতে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের ফলে শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোলাপোখারি, মোতিগঞ্জ, সিনেমাচক এলাকায় এক সম্প্রদায়ের লোকজন অন্য সম্প্রদায়ের বাড়িতে পাথর, লাঠি, কাঁচের বোতল দিয়ে হামলা চালায়। উত্তেজিত জনতা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, ফলে সংঘর্ষ বিশৃঙ্খলার রূপ নেয়। চরম উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়, বাড়িতে আগুন ধরানো হয়।
অতিরিক্ত এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) সঞ্জয় কুমার অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বালোসোরে রয়েছেন। পুলিশি টহলদারি চলছে, এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।