Wed, July 3, 2024

ই-পেপার দেখুন

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন:  পেজেশকিয়ান ও জালিলি কে?

ইমামা খাতুন

Published: 30 June, 2024, 08:43 PM
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন:  পেজেশকিয়ান ও জালিলি কে?

 

 

 

 

 

 

বিশেষ প্রতিবেদন: শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনও প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। চার প্রার্থীর মধ্যে এখন লড়াইয়ে টিকে আছেন সংস্কারপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং কট্টরপন্থী সাইদ জালিলি। সবমিলিয়ে বেশি ভোট পেয়ে জালিলির চেয়ে একটু এগিয়ে আছেন পেজেশকিয়ান।

৫ জুলাই দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত নির্বাচনে অংশ নেবেন এই দুই প্রার্থী। প্রথম দফার ভোটের ফল বলছে, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লক্ষ ভোট পেয়েছেন। আর কট্টরপন্থী হিসাবে পরিচিত প্রার্থী সাইদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লক্ষ ভোট। বলা হচ্ছে, পেজেশকিয়ান পশ্চিমাদের সঙ্গে মিলে মিশে চলতে ভালোবাসেন, অন্যদিকে সাইদ জালিলি সম্পূর্ণ পশ্চিমা-বিরোধী। ৫৮ বছর বয়সী জালিলি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ১৯৬৫ সালে ইরানের মাশহাদে জন্মগ্রহণ করা জালিলি মধ্যবিত্ত পরিবারের। তিনি নম্র ও কম কথা বলেন। তবে তিনি শক্ত ও দৃঢ়। রক্ষণশীল ধর্মবোধের সঙ্গে নিজের কর্মজীবনে বেশকিছু উচ্চ পদের দায়িত্ব সামলেছেন। জালিলি ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলে খামেনির প্রতিনিধিদের একজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইরান-ইরাক যুদ্ধেও লড়াই করেছিলেন। এ যুদ্ধে তার ডান পা কেটে গিয়েছিল। ইরানের পারমাণবিক চুক্তির মধ্যস্থতাও করেছেন তিনি। এ সময়ও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে বেশ কড়া অবস্থা দেখা গেছে তাঁর। তেহরানের ইমাম সাদেগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন জালিলি। ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদের আমলে তিনি ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের উপবিদেশমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় হয়েছিলেন তিনি। ওই সময় ১১ শতাংশ ভোট পান। ২০২১ সালে ইব্রাহিম রাইসির সমর্থনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন জালিলি। এদিকে, মাসুদ পেজেশকিয়ান একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী। ১৯৫৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্ম তার। পেশায় তিনি হার্ট সার্জন। উত্তর-পশ্চিমের নগরী তাবরিজ থেকে ২০০৮ সাল থেকে টানা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। পেজেশকিয়ান ইরানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর সমালোচক। ইরানের প্রাক্তন সংস্কারপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামির সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০২২ সালে ইরানের রাজধানী তেহরানে নীতি পুলিশের হেফাজতে কুর্দ তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করেছিলেন পেজেশকিয়ান।

 

Leave a comment