পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ নব নালন্দা ও পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের যৌথ আয়োজনে ১৮ থেকে ২০ মার্চ, তিন দিন ব্যাপী শান্তিনিকেতনের সৃজনী শিল্পগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বসন্ত উৎসব ২০২২। অংশগ্রহণে ছিল নব নালন্দা কলকাতা ও শান্তিনিকেতনের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন লোপামুদ্র মিত্র, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রেয়া গুহ ঠাকুরতা, শাশ্বতী গুহ ঠাকুরতা, রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়, মধুমিতা বসু, দেব চৌধুরী, মৌনীতা চট্টোপাধ্যায়, অরিত্র দাশগুপ্ত, সিসপিয়া ব্যানার্জী, চন্দ্রিকা ভট্টাচার্য, সাম্য কার্ফা, শোভন সুন্দর বসুর মতো বিশিষ্ট শিল্পীরাও।
বসন্ত উৎসবের প্রথম দিন মঞ্চস্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য শাপমোচন অবলম্বনে নৃত্য গীতি আলেখ্য ‘রাজ বধূ’। এরপর নব রবি কিরণের নিবেদনে কলকাতা ও শান্তিনিকেতনের শিল্পীদের মিলিত প্রয়াসে ‘বাসন্তিকা’ এবং অলকানন্দা রায়ের পরিকল্পনা ও পরিচালনায়, চন্দনালোক এর নিবেদনে পরিবেশিত হয় ‘হে মাধব’। এই নৃত্য নাট্যে অলকানন্দা রায়ও অংশগ্রহণ করেন।
এদিনের শেষ নিবেদন ছিল কবিতা ও গানের সমন্বয়ে ‘বসন্ত পলাশে’। আবৃত্তিতে ছিলেন শোভনসুন্দর বসু এবং গানে দেব চৌধুরী।
১৯ মার্চ নব নালন্দা কলকাতা ও শান্তিনিকেতনের যৌথ প্রয়াসে পরিবেশিত হয় নৃত্য গীতি আলেখ্য ‘বসন্ত বাতাসে’।
প্রায় সাতশো ছাত্রছাত্রী এতে অংশগ্রহণ করেন। এই প্রযোজনাটি ছিল খুবই উপভোগ্য। পরিবেশিত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নৃত্য গীতি আলেখ্য ‘পরীর পরিচয়’। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস কুমার।
২০ মার্চ উৎসবের শেষ দিনে একক আবৃত্তি পরিবেশন ছিলেন ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্র গানে লোপামুদ্রা মিত্র।
বসন্ত উৎসবের শেষ প্রযোজনা ছিল শৈলী শান্তিনিকেতনের নিবেদনে ‘মায়ার খেলা’। সমগ্র অনুষ্ঠানটির পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন অরিজিৎ মিত্র।