ক্যালিফোর্নিয়া: স্মার্টফোন আমাদের জীবনে এসেছে প্রায় তিন দশক আগে। আর এর আগমন ছিল প্রযুক্তির জগতে একটি বড় বিপ্লব। কিন্তু এখন স্মার্টফোনের বদলে আরেকটি প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে বদলে দিতে প্রস্তুত। মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি জানিয়েছেন, একসময় স্মার্টফোনের জায়গা দখল করবে স্মার্টগ্লাস বা স্মার্টচশমা। তিনি বলেছেন, এটি পরবর্তী প্রযুক্তি বিপ্লবের সূচনা করবে।
জাকারবার্গের মতে, স্মার্টচশমা স্মার্টফোনের জায়গা নেবে এবং প্রযুক্তির জগতকে একটি নতুন দিক থেকে দেখতে শুরু করবে মানুষ। তিনি বলেন, ‘স্মার্টচশমাই হবে পরবর্তী বড় কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্ম।’ স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে প্রথমে স্মার্টওয়াচ বা ঘড়ি এসেছিল বাজারে, তবে সেগুলো ব্যবহারকারীদের মধ্যে তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি, মূলত একটি সহায়ক ডিভাইস হিসেবেই অবস্থান করছে। স্মার্টওয়াচের মাধ্যমে স্মার্টফোনের কিছু কার্যকরী ফিচার ব্যবহার করা সম্ভব হলেও তারা পুরোপুরি স্মার্টফোনের জায়গা নিতে পারেনি। তবে জাকারবার্গ জানিয়েছেন, স্মার্টচশমা প্রযুক্তির পরবর্তী বড় পরিবর্তন হবে। স্মার্টফোনের তুলনায় এটি আরও সহজ, ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক হবে।
জাকারবার্গ আরও বলেন, ‘এমন একটি সময় আসবে যখন আপনার স্মার্টফোনটি আপনার পকেটেই থাকবে এবং খুব কমই ব্যবহার হবে। আমি মনে করি, এটি ২০৩০ সালের মধ্যে ঘটবে। যদিও স্মার্টফোনের মাধ্যমে কিছু কাজ আরও ভালো এবং দ্রুত করা যাবে, তবুও মানুষ সহজ এবং সুবিধাজনক স্মার্টচশমাকে বেছে নেবে।’
এই চশমাগুলো হবে এমন এক প্রযুক্তি, যা আপনাকে আপনার দৈনন্দিন কাজগুলো সহজ এবং দ্রুতভাবে করতে সাহায্য করবে। ইন্টারনেট ব্রাউজিং, কল করা, মেসেজ পাঠানো এবং অন্যান্য সাধারণ কাজগুলোর জন্য আপনাকে আর স্মার্টফোনের স্ক্রিন চেয়ে দেখতে হবে না। স্মার্ট চশমার মাধ্যমে এগুলো সরাসরি আপনার চোখের সামনে আসবে এবং আপনি সেগুলো হাত নাড়িয়েই করতে পারবেন। অ্যাপলের ভিশন প্রো এবং মেটা স্মার্টচশমার প্রযুক্তির বিকাশে প্রধান ভূমিকা পালন করছে। তবে আরও অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও স্মার্টচশমা তৈরির কাজ শুরু করেছে এবং তারা বাজারে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত।