Wed, July 3, 2024

ই-পেপার দেখুন

এক ঐশ্বরিক অনুভূতি হয়েছে,’ কন্যাকুমারীর ধ্যান শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে লেখা চিঠি মোদির

News Desk

Published: 03 June, 2024, 05:34 PM
এক ঐশ্বরিক অনুভূতি হয়েছে,’ কন্যাকুমারীর ধ্যান শেষে দেশবাসীর উদ্দেশে লেখা চিঠি মোদির

 

নয়াদিল্লি, ৩ জুন: কন্যাকুমারীতে ধ্যানের পর বাইরের জগৎ থেকে নিজেকে আলাদা মনে করছেন, এক ঐশ্বরিক অনুভূতি হয়েছে তাঁর, দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। দেশের সকল নাগরিককে উদ্দেশ্য করে মোদি একটি চিঠিতে কন্যাকুমারীর প্রশংসা, এবং তাঁর এই অনুভূতিকে অসাধারণ অভিজ্ঞতা বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
ধ্যান শেষে কন্যাকুমারী বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল নিয়ে ভারতের ভবিষ্যত নিয়ে এক চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা নির্বাচনে লাগাতার প্রচার শেষ করে ৩০ মে ধ্যান শুরু করেছিলেন তিনি। প্রায় ৪৫ ঘণ্টার ধ্যান শেষে শনিবার দুপুরে, লোকসভা ভোট চলাকালে দিল্লি ফিরে আসেন তিনি। ফেরার সময় তার ভাবনা নিয়ে এক মস্ত বড় চিঠি লিখেছেন মোদি। চিঠিটি সোমবার ৩ জুন প্রকাশ করেছে একটি সংবাদমাধ্যম। 
কি আছে মোদির সেই চিঠিতে? প্রধানমন্ত্রীর আধ্যাত্মিক যাত্রা, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং ভারতের ভবিষ্যত-চিঠির বিষয়বস্তু এই তিনটিই্। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ধ্যান ভাঙার পর নিজের মধ্যে ঐশ্বরিক শক্তি অনুভব করছেন। ধ্যান তাঁর মনে কতটা প্রশান্তি জুগিয়েছে, তা বোঝাতে গিয়ে তিনি লিখেছেন, কন্যাকুমারীর উদীয়মান সূর্য আমার চিন্তাকে নতুন উচ্চতা দিয়েছে, সমুদ্রের বিশালতা আমার ধারণাগুলিকে প্রসারিত করেছে, এবং বিস্তৃত দিগন্ত ক্রমাগত আমাকে মহাবিশ্বের গভীরে নিহিত একতাকে উপলব্ধি করিয়েছে। তিনি আরও লিখেছেন, ‘এটা আজ আমার ভাগ্য, বিগত বহু বছর পরও, ভারত স্বামী বিবেকানন্দের মূল্যবোধ ও আদর্শকে সামনে রেখে চলেছে, সেই তীর্থস্থানে ধ্যান করার সুযোগ পেয়েছি আমি। মা ভারতীর পায়ের কাছে বসে আজ আমি আরও একবার আমার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করলাম, আমার জীবন, আমার শরীরের প্রতিটি কণা দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
মোদি লিখেছেন, আধ্যাত্মিক নবজাগরণের অগ্রদূত স্বামী বিবেকানন্দ আমার অনুপ্রেরণা, আমার শক্তির উৎস এবং আমার অনুশীলনের ভিত্তি। গোটা দেশ ঘুরে আসার পর স্বামীজি এখানেই বসে ধ্যান করেছিলেন। তিনি ভারতের পুনরুজ্জীবনের এক নতুন দিকনির্দেশ লাভ করেছিলেন। আমার সৌভাগ্য যে, আজ এত বছর পর স্বামী বিবেকানন্দের মূল্যবোধ ও আদর্শ যেমন তাঁর স্বপ্নের ভারতকে রূপ দিচ্ছে, আমিও এই পবিত্র স্থানে তা অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছি। মোদি লিখেছেন, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন অমৃত কালের প্রথম। আমি কয়েক মাস আগে ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের দেশ মিরাট থেকে আমার প্রচারণা শুরু করেছিলাম। তারপর থেকে, আমি আমাদের মহান জাতিকে একত্র করে চলেছি।  এই নির্বাচনের চূড়ান্ত সমাবেশ আমাকে পঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে নিয়ে গিয়েছিল, মহান গুরুদের দেশ এবং সন্ত রবিদাস জি-এর সঙ্গে যুক্ত একটি ভূমি।‘
এদিকে মোদির এই চিঠি নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমালোচনা করে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিং বলেছেন, এই তীর্থস্থানের ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ। প্রধানমন্ত্রী কি সেই আইন ও নিয়ম মানেননি? আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, ‘মোদিজি সেখানে কোনও ধ্যান করেননি, শুধু ছবি তুলেছেন। 

Leave a comment