নয়াদিল্লি, ২৮ জুন: দিল্লি বিমানবন্দরে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে একটি সংস্কার প্রকল্প উদ্বোধনের কয়েক মাস পরেই ধসে পড়ল সেই টার্মিনালের ছাদ। শুক্রবার ভোরে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে এয়ারপোর্টে ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয়েছে একজনের, আহত কমপক্ষে ৮ জন। তীব্র ধিক্কার জানিয়ে এই দুর্ঘটনার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিকে দায়ী করেছেন তৃণমূলের সাংসদ সাকেত গোখলে। অপরদিকে দুর্ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেন, 'বছরের শুরুতে মডেল কোড আরোপের আগে অসম্পূর্ণ টার্মিনাল "উদ্বোধন" সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।'
আজ থেকে দেশ জুড়ে চালু নয়া ফৌজদারি আইন, 'দণ্ডের জায়গায় ন্যায়, দ্রুত হবে বিচারব্যবস্থা': অমিত শাহ
সোমবার থেকে মহার্ঘ্য হল পেট্রোল ডিজেল, বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসে মিলল আংশিক স্বস্তি
দেশের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী
দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের উদ্দেশে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী। দুর্ঘটনার কারণে ১ নম্বর টার্মিনাল থেকে সমস্ত কাজকর্ম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ব্যাহত উড়ান পরিষেবা। দুপুর ২ থেকে সন্ধ্যা সাড়ে আটটা পর্যন্ত উড়ান পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী কে রাম মোহন নাইডু। ভোগান্তিতে যাত্রীরা।
SHOCKING & tragic news this morning.
The roof at Delhi Airport’s has T1 collapsed this morning and, until now, 3 people are reported dead.
For election campaigning, Modi had hurriedly “inaugurated” T1 in March even while it was under construction.
𝐖𝐡𝐲 𝐬𝐡𝐨𝐮𝐥𝐝𝐧’𝐭… pic.twitter.com/mx9NQNbush — Saket Gokhale MP (@SaketGokhale) June 28, 2024
প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত দিল্লি। অবিরাম বৃষ্টির কারণে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ছাদ ধসে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। পার্কিং এলাকায় আসা ট্যাক্সি সহ আরও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে দমকলের চারটি ইঞ্জিন। রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে রাম মোহন নাইডু মৃত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি ২০ লক্ষ টাকা ও আহতের জন্য ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
এদিকে দিল্লির বিমানবন্দরের দুর্ঘটনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেছেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। এক্স হ্যান্ডেলে সাকেত লেখেন, 'খবর শুনে শিউড়ে উঠেছি। নির্বাচনী প্রচারণার জন্য তাড়াহুড়ো করে মার্চ মাসে ১ নম্বর টার্মিনাল উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও এটা নির্মাণাধীন ছিল। তাড়াহুড়োর জন্য এই দুর্ঘটনা।'
এদিকের কেন্দ্র সরকার এই দুর্ঘটনার সমস্ত দায়ভার চাপিয়েছে ইউপিএ সরকারের উপর। মোদি সরকারের তরফে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, টার্মিনালের যে অংশটি ভেঙে পড়ে, সেটি পুরনো নির্মাণ। ২০০৯ সালে সেই অংশটি তৈরি করা হয়েছিল।
এক বিবৃতিতে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের কাজে ব্যবহৃত বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ফোরকোর্টের ছাউনিটির একটি অংশ সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়েছে। কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, জরুরি কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ করছেন। এই ঘটনার ফলে ১ নম্বর টার্মিনাল থেকে সমস্ত বহির্গমন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, সতর্কতার অংশ হিসেবে চেক-ইন কাউন্টারগুলোও বন্ধ করা হয়েছে।'
অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রাম মনোহর নাইডু বলেন, 'দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১-এর ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ার ঘটনা ব্যক্তিগতভাবে নজরদারি চালাচ্ছি। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি বিমান সংস্থাগুলিকেও।'
প্রসঙ্গত, তীব্র দাহদহের পরে প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি। সকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দিল্লির সফদরজংয়ে মোট ১৫৩.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। কমলা সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি।