রাঁচি, ২৮ জুন: জামিন পেলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। শুক্রবার তার জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি জমি সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল হেমন্ত সোরেনকে। প্রায় পাঁচ মাস পর জামিন পেলেন জেএমএম নেতা। লোকসভা ভোটের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের জামিন মঞ্জুর করার পরেই জামিনের আবেদন করেও বার বার বাতিল হয়। জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই আর্জি প্রত্যাহার করে দেওয়া হয়। হেমন্তের আইনজীবী অরুণাভ চৌধুরী বলেছেন যে 'হেমন্ত সোরেনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে তিনি ওই অপরাধের মামলায় দোষী নন। আর জামিনে থাকার সময় মামলাকারী কোনও অপরাধমূলক কাজ করারও কোনও সম্ভাবনা নেই।'
নিট-ইউজি প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে পটনা থেকে দুজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই
সোমবার থেকে মহার্ঘ্য হল পেট্রোল ডিজেল, বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাসে মিলল আংশিক স্বস্তি
রাতের অন্ধকারে পেল্লাই মার্কা কুমির মহারাষ্ট্রের রাস্তায়, আতঙ্কে স্থানীয়রা
জামিন পাওয়ার পরে হেমন্ত সোরেনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, “হেমন্ত সোরেন, 'দেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ আদিবাসী নেতা। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে একটি মামলার কারণে পদত্যাগ করতে হয়েছিল, কিন্তু আজ তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। আমি খুবই খুশি এবং নিশ্চিত যে তিনি অবিলম্বে তার জনসাধারণের জন্য কার্যক্রম শুরু করবেন। হেমন্তকে আমাদের মাঝে আবার স্বাগতম!”
প্রসঙ্গত, ৬০০ কোটি টাকার জমি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জেএমএম নেতা। জামিনের আবেদনে একাধিকবার তাঁর মামলার শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আবেদন চেয়ে শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় হেমন্ত সোরেনকে। তিরস্কারের মুখে পড়ে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন জেএমএম নেতার আইনজীবী কপিল সিব্বল। ফলে ভোটের মধ্যে আর জেল থেকে বের হতে পারেননি হেমন্ত। ওই মামলায় আগেই ১ জন আইএএস অফিসার সহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
হেমন্ত সোরেনের পদত্যাগের পরেই ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন চম্পাই সোরেন। ঝাড়খণ্ডে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার তাকে আটবার সমন পাঠায় ইডি। তাঁর দিল্লির বাড়িতেও হানা দেওয়া হয়েছিল। সবশেষে ৩১ জানুয়ারি রাতে রাঁচিতে ইডির বিশাল দল গিয়ে হেমন্তকে গ্রেফতার করে।