ভোপাল, ২৬ জুন: বুলডোজের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশ। গো-হত্যার অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা আইন (এনএসএ) লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে উত্তেজনা তৈরি করে বজরং দলের সদস্যরা। এর পরেই মধ্যপ্রদেশের নুরবাদ গ্রামে আসগর খান ও জাফর খানের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার আগে মধ্যপ্রদেশের তিনটি মুসলিম বাড়ি বুলডোজ করে দেওয়া হয়। ফের নতুন করে বুলডোজের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল।
সূত্রের খবর, বজরং দলের এক নেতার দাবি, মুসলিমদের ঘরে গরুর মাংস পাওয়া গেছে। প্রশাসনের উপর চাপ বাড়াতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তারা।
পুলিশ এই ঘটনায় জাফর খান, আসগর খান, শাম্মী, আফসার, রেতুয়া, বিষ্ণোই, মৌসম, ইকরার এবং সাহুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আসগর ও তার শ্বশুরের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। বুলডোজের একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
মিললো না স্বস্তি, সিবিআই গ্রেফতারিতে ১২ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতে কেজরিওয়াল
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দিল্লি, মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো ১০, জলবন্দি নেতা-মন্ত্রীদের বাংলো
'প্রতারণার শিকার, ওদের কথামতো না চললে বুলডোজার নিয়ে আসবে', জমি দখলের অভিযোগে মন্তব্য সাংসদ ইউসুফ পাঠানের
দিলীপ সিং গুর্জার নামে ওই অভিযোগকারীর দাবি, মোরেনার বাঙালি কলোনিতে কিছু লোক গরু জবাই করেছে। জবাই বন্ধ করতে গেলে তার ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।
এই সপ্তাহে গোহত্যার অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের মন্ডলা, রতলাম, জাওরা, সিওনি এবং এখন মোরেনায় মুসলিমদের কয়েক ডজন বাড়ি বুলডোজ করা হয়েছিল। এমনকি কয়েকটি ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আহ্বান জানানো হয়।
একের পর এক অভিযোগে ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে বিজেপশাসিত মধ্যপ্রদেশ। উজ্জানে একটি ধর্মীয় মিছিলে থুথু ফেলার অভিযোগে একটি মুসলিম পরিবারের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গতবছর আদালত রায় দেয়, অভিযোগগুলি সব মিথ্যা সাজানো হয়েছিল, জোর করে বেশ কয়েকজনকে দিয়ে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছিল।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড মুসলিমদের উপর এই ধরনের অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।