নিজস্ব প্রতিনিধি : সাধারণত পরীক্ষা সূচি মাথায় রেখে বিধানসভা ও লোকসভার নির্ঘন্ট ঘোষণা করে থাকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আসানসোল ও বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের ক্ষেত্রে তা উপেক্ষার পথেই হেঁটেছেন কমিশনের আধিকারিকরা। আগামী ১২ এপ্রিল দুই কেন্দ্রের ভোট। অথচ তার আগের দিন ও পরের দিন ভোট রয়েছে। ১১ এপ্রিল উচ্চ মাধ্যমিকের ফলে কীভাবে ওইদিন ভোট নেওয়া হবে, তা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। সোমবারই এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিবের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সূত্রের খবর, ভোটের দিন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কমিশনের কাছে চিঠি দিচ্ছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।
যদিও এদিন রাতে কমিশনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ভোটের দিনক্ষণ বদলানোর সম্ভাবনা নেই। তার কারণ বাংলার সঙ্গে বাকি তিন রাজ্যেও ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলায় দিন পরিবর্তন করলে অন্য রাজ্যেও করতে হবে, তা সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও অনুরোধ চিঠি পায়নি কমিশন। যে যে স্কুলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে, সেখানে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হবে না। সংশ্লিষ্ট স্কুলের বুথ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
শুধু তাই নয়, দুই আসনের উপনির্বাচনের জন্য জোরকদমে প্রস্তুতি নেওয়ার কাজও শুরু করেছে। এদিনই সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। পাশাপাশি দুই কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি’র কাছেও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। তবে সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় বসে না থেকে অবাধ ও সুষ্ঠভাবে ভোট করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কমিশন সূত্রে খবর, বালিগঞ্জ ও আসানসোলের উপনির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রায় ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। গত বছর বিধানসভা ভোটে আসন পিছু গড়ে ২০ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। সেই হিসেবে দুই কেন্দ্রের জন্য ১৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। তবে গতবারের চেয়ে এবার যেহেতু পরিস্থিতি ভিন্ন, তাই বিধানসভা পিছু কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা কমানো হচ্ছে। আগামিকাল বুধবারের মধ্যেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। চলতি সপ্তাহের শেষেই রাজ্যে পা রাখতে পারে আধা সেনা জওয়ানরা। প্রচারের সময় সকাল ৮টা থেকে রাত্রি ৮টা পর্যন্ত।