উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : কুলতলিতে বাবাকে খুন করে দেহ মাটির মধ্যে পুঁতে দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা সন্তানের। বাবা মা ও সন্তান-তিন জনে মিলে ছিল সুখের সংসার। তারপরেই ঘটে ছন্দপতন। বেশ কিছুদিন ধরে সন্তান নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল, আর এতেই বাবা প্রতিবাদ করতে থাকে। আর এতেই বাবার প্রতি সন্তানের রাগ  চরমে পৌঁছায়।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জামতলা গ্রামে। পরিমল হালদার নামের এক যুবক প্রতিনিয়ত নেশাগ্রস্থ অবস্থায় থাকতো সে,এ নিয়ে বাবার সঙ্গে দৈনন্দিন তার ঝগড়া ঝামেলা লেগেই থাকতো । প্রতিবেশীদের দাবি বেশ কিছুদিন আগে পরিমল হালদার তার বাবাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। গত চার পাঁচ দিন আগে পরিমলের বাবা হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রতিবেশীরা পরিমলকে তার  বাবার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে থাকে। পরিমল কিন্তু বলতো আমি জানিনা বাবা কোথায় গেছে।রবিবার দুপুরে পরিমল কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে।

প্রতিবেশীরা তাকে তড়িঘড়ি জয়নগর কুলতলি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য।প্রতিবেশীরা সেখানে  তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরিমল তাদেরকে বলে, প্রতিনিয়ত আমি নেশা করতাম আর আমার বাবা বারে বারে আমাকে বকুনি দিত  তাই আমি বাবাকে খুন করে এলাকার বাঁশ বাগানে মাটিতে পুঁথে দিয়েছি । প্রতিবেশীরা  কুলতলি থানায় এই খবর দেয়। পরিমলের অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকরা পরিমলকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।

আর এদিন রাতে প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্য ও কুলতলি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতি ও ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে বিডিও সুচন্দন বৈদ্যের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল জামতলায় বাঁশ বাগানের গর্তের মধ্যে পুঁতে রাখা মৃত কাশীনাথ হালদারের দেহটি উদ্ধার করে।

সোমবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য  পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেছে  কুলতলি থানার পুলিশ।