কাটমান্ডু, ১৩ জুলাই: তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন কমিউনিস্ট নেতা কেপি শর্মা ওলি। নেপালি কংগ্রেসের (NC) সমর্থন নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (UML) চেয়ারম্যান ওলি নতুন সরকার গঠন করতে চলেছেন। প্রসঙ্গত, জোটের অন্যতম অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (UML) সমর্থন প্রত্যাহারের পর গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত পার্লামেন্টের আস্থা ভোটে হেরে যান প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড। প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর বুধবার নতুন জোটের ঘোষণা করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দল। আরেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা নেপালি কংগ্রেসের প্রধান শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গে জোট সরকার গড়ার বিষয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওলির দল।
উল্লেখ্য, নেপালে ২০০৮ থেকে সেখানে ১৩ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। আরও একবার পরিবর্তন দেখতে চলেছে নেপালিরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ১৪তম প্রধানমন্ত্রীর নাম স্থির করতে বৈঠক করেন দেউবা ও ওলি। শুক্রবার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটের পরীক্ষায় হেরে যান প্রচণ্ড।
মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা উচিত বাংলাদেশ সরকারের: কোটা আন্দোলন মত রাষ্ট্রসংঘের
নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ৭২ ভাগ ইসরাইলি
ঢাকার রাস্তায় দেখা নেই ট্রাফিক পুলিশের, লাঠি–বাঁশি নিয়ে দায়িত্বে ছাত্ররা
এদিকে নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের আসন সংখ্যা ২৭৫। এর মধ্যে দেউবার নেপালির কংগ্রেসের ৮৮ এবং ওলির সিপিএন (UML)-এর ৭৯ জন সদস্য রয়েছেন। অর্থাৎ দু’দল হাত মেলালে অনায়াসেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক ফিগার ১৩৮ ছোঁয়া সম্ভব। এরপর নতুন যে সরকার গঠন হবে তার নেতৃত্ব দেবেন কেপি শর্মা ওলি। ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড।