ওয়াশিংটন, ১৭ জুলাই: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভের আগুন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভ আন্দোলনে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ। বুধবারও বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যেই এবার কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সহিংসতা-হামলা থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাল রাষ্ট্রসংঘ। মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ আহ্বান জানান। ডুজারিক বলেন, আমরা পরিস্থিতি (বাংলাদেশে আন্দোলন) সম্পর্কে অবগত। গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমি মনে করি, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্য সব জায়গায় মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র আরও বলেন,
যেকোনো হুমকি ও সংঘাত থেকে প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। বিশেষ করে তরুণ, শিশু ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের মতো যাদের বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের মানুষের এ অধিকার নিশ্চিত করা উচিত উল্লেখ করে ডুজারিক বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা মানুষের মৌলিক মানবাধিকার।’
নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ৭২ ভাগ ইসরাইলি
ঢাকার রাস্তায় দেখা নেই ট্রাফিক পুলিশের, লাঠি–বাঁশি নিয়ে দায়িত্বে ছাত্ররা
বাংলাদেশে মন্দিরে হামলার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, মন্দির পাহারায় শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকাসহ সারা দেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। সোমবার সংঘর্ষ হলেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে মঙ্গলবারের সংঘর্ষে সারা দেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একই সঙ্গে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ত্যাগেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।