Tue, July 9, 2024

ই-পেপার দেখুন

ফিলিস্তিনের সমর্থনে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে ব্যানার

ইমামা খাতুন

Published: 04 July, 2024, 08:33 PM
ফিলিস্তিনের সমর্থনে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে ব্যানার


ক্যানবেরা, ৪ জুলাই: ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় পার্লামেন্ট  ভবনের ছাদে উঠে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তারা কয়েকটি ব্যানার নিয়ে ছাদে উঠেন এবং সেগুলো ঝুলিয়ে দেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের মুক্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে ফিলিস্তিনকে সমর্থনই কাল হলো অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম সিনেটরের! অস্ট্রেলিয়ার  ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন দেশটির সিনেটর ফাতেমা পেম্যান। বৃহস্পতিবার  তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।   
এদিন কালো পোশাক পরিহিত চার ব্যক্তিকে প্রায় ১ ঘণ্টা পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা কালো রঙের বেশ কয়েকটি ব্যানার ছাদ থেকে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দেন। ব্যানারগুলোর  একটিতে লেখা ছিল, ‘ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একজন একটি মেগাফোন ব্যবহার করে বক্তব্য দেন। তিনি ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তোলেন। ওই বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আমরা ভুলব না। আমরা ক্ষমা করব না এবং আমরা প্রতিরোধ করে যাব।’ স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা তাদের ব্যানারগুলো গুটিয়ে নেন। 
অন্যদিকে, ফাতেমা পেম্যান লেবার পার্টি থেকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছিলেন। এরপরই লেবার পার্টির তোপের মুখে পড়েন তিনি। তাকে দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন ফাতেমা।

পার্লামেন্ট হাউসে তিনি বলেন, লেবার পার্টির এমন একটি বিষয় নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছি, যে বিষয়ে আমি কোনোভাবেই আপস করতে পারি না। ফাতেমার পদত্যাগের পর ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এক বিবৃতিতে তাকে তার নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানান। তবে পেম্যানকে পদত্যাগ করার জন্য ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। ২৯ বছর বয়সী ফাতেমা পেম্যান অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এবং একমাত্র হিজাব-পরিহিত কেন্দ্রীয় রাজনীতিবিদ। পদত্যাগের পর স্বাধীন সিনেটর হিসেবে ‘ক্রসবেঞ্চে’ যোগ দেবেন ফাতেমা। ক্রসবেঞ্চে স্বতন্ত্র সিনেটর এবং ছোট দলগুলোর সদস্যরা বসে থাকেন।
 

Leave a comment