ইরানের মসনদে কে? নতুন প্রেসিডেন্ট বাছতে ভোট দিল জনতা
নেতানিয়াহুকে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়া থেকে বিরত রাখুন: চিঠি দিলেন ইসরাইলের শীর্ষ ব্যক্তিরা
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: পেজেশকিয়ান ও জালিলি কে?
তেল আবিব, ২৮ জুন: গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত কয়েকটি ঘাঁটি লক্ষ্য করে কয়েক ডজন রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এতে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে ইসরাইল। ইসরাইলি ঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে বলা হয়, নাবাতিয়েহ শহর এবং সোহমোর গ্রামকে লক্ষ্য করে শত্রুদের আক্রমণের জবাবে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় সেনা ঘাঁটিতে কাতিউশা রকেট দিয়ে হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে আরও দু’টি হামলা চালানো হয়। আলাদা এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানায়, ইসরাইলি হামলায় তাদের ৪ যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এদিকে ইসরাইলি বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে ৩৫টি রকেট ছোড়া হয়েছে। বেশিরভাগ রকেটই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এ হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
সীমান্তে প্রতিদিনই ইসরাইলি সেনা ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সম্প্রতি দু’পক্ষের মধ্যে এ উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা দেখাচ্ছে ইসরাইলকে। হিজবুল্লাহর অস্ত্র ভাণ্ডার ও সক্ষমতা দেখার পর নিজের মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করছে তেল আবিব। তাই হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইল যুদ্ধ চায় না, বরং চলমান উত্তেজনা নিরসনে একটি কূটনৈতিক সমাধান চায় তেল আবিব। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট স্বয়ং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে সরাসরি নয়, এ বার্তা এসেছে ইসরাইলের মিত্র আমেরিকার পক্ষ থেকে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন বিশ্বাস করে দুই পক্ষের স্বার্থে একটি কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব। এ ধরনের সমাধান আদৌ তেল আবিব মেনে নেবে কি?’ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লেবাননের সঙ্গে নেতানিয়াহু সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা। জবাবে মিলার বলেন, ইসরাইলি সরকারে নানা মতের লোকজন আছে। তাদের সবার সঙ্গে আলাপ করা সম্ভব হয়নি। যদিও মিলার জোর দিয়েই বলেছেন, ইসরাইলের মন্ত্রীরা তাকে নিশ্চিত করেছেন যে, তারা সর্বাত্মক যুদ্ধ চান না। ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে তারা কূটনৈতিক সমাধান চান।
প্রসঙ্গত, গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইসরাইলে হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। এতে সীমান্ত এলাকা থেকে ইসরাইল তাদের ৬২ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়। পাশাপাশি লেবাননের ভেতরে ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলে হামলা আরও জোরদার করেছে হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিদ্যুৎ কোম্পানি নোগার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাউল গোল্ডস্টেইন সতর্ক করে বলেন, হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে ইসরাইলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এদিকে আমেরিকাও চাইছে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যাতে ইসরাইলের যুদ্ধ না বাধে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, ইসরাইল ও লেবাননের অসামরিক মানুষ যাতে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য কাজ করছে ওয়াশিংটন।