বার্লিন, ২৭ জুন: অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পক্ষে অবস্থান নিলে বা ঘৃণা ছড়ালে কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ধরনের পোস্টে লাইক বা সমর্থন দিলে তাদের ডিপোর্ট বা বিতাড়নের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে জার্মানি। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া আইনে অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। ইহুদিবিদ্বেষের মতো ঘৃণামূলক অপরাধ ঠেকাতে এই আইনটি করা হচ্ছে।
তীব্র দাবদাহ… আমিরশাহীতে সংক্ষিপ্ত হচ্ছে জুম্মার খুতবা
জলবায়ু বদল: টানা ১৭ বছর বসন্ত ও শীতে হবে হজ, জানাল সউদি আরব
পাকিস্তানে তীব্র গরমে ছয় দিনে ৫০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু
জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বুধবার সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন দেওয়া ব্যক্তিদের বিতাড়নকে সহজ করার জন্য খসড়া আইনে সম্মত হয়েছেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। ইসরাইলে হামাসের হামলা এবং অন্যান্য সন্ত্রাসী ঘটনার সমর্থনে অনলাইন ঘৃণা ছড়ানো বিভিন্ন পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রমাণিত হলেই তাকে বিতাড়নের অনুমতি দেবে এই খসড়া আইনটি। এ জন্য আদালতের মাধ্যমে তার অপরাধ প্রমাণেরও প্রয়োজন পড়বে ন। ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক-এর মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানো পোস্ট দেওয়াই শুধু নয়, বরং ঘৃণামূলক কোনো পোস্টে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিলেও এই আইনের অধীনে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে।
সম্প্রতি জার্মানির মানহাইম শহরে ইসলামবিরোধী একটি সমাবেশে এক আফগান অভিবাসীর ছুরিকাঘাতে মারা গেছেন জার্মান এক পুলিশ কর্মকর্তা। ওই ঘটনার পর আফগানিস্তান এবং সিরিয়ায় ডিপোর্টের অনুমতি দিয়ে একটি আইন তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের প্রচার ও সমর্থন দেওয়ার অর্থ হলো ভুক্তভোগী, তাদের পরিবার এবং আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মুখে চপেটাঘাত। এক সাক্ষাৎকারে সাংসদ ন্যান্সি ফেজার বলেন, আমাদের কাছে বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে, ইসলামপন্থিদের জন্য আমাদের দেশে কোনো স্থান নেই।
তিনি আরো বলেন, যার কাছে জার্মান পাসপোর্ট নেই এবং জার্মানিতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দেবে তাকে অবশ্যই বিতাড়ন করা হবে। সরকারের সমালোচকেরা বলছেন, খসড়া আইনটি বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত। এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণত কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে নেওয়া হয়।