বাগদাদ, ৯ আগস্ট: মেয়েদের বিয়ের বয়সসীমা ৯ বছরে নামিয়ে আনতে প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে ইরাকের সংসদে। এ নিয়ে নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শিয়া সমর্থিত দলগুলি বর্তমান আইন সংশোধনের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। তাদের প্রস্তাব, মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ৯ বছর করা হোক।
প্রথমবারের জন্য এই সংশোধনী প্রস্তাব তোলা হয়েছে সংসদে। তবে এর বিরুদ্ধে সরব দেশের মহিলা ও শিশু অধিকার সংগঠনগুলি। ইরাকের শিয়া দলগুলো বেশ কিছুদিন ধরেই বাল্যবিয়ে বৈধ করার জন্য সংসদে চাপ দিয়ে আসছে। দেশটির ১৯৫৯ সালের ব্যক্তিগত আইনের ১৮৮ নম্বর ধারা সংশোধন করে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ৯ বছরে করার দাবি তাদের। সেই দাবিতেই এই প্রস্তাব আনা হয়েছে।
হজে মৃতের সংখ্যা ছড়াল ৯০০ তে, অর্ধেকের বেশি মিশরীয়
৫৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিল ইসরাইল, ভয়ংকর অভিজ্ঞা শোনালেন জেলমুক্ত বন্দিরা
মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকায় বন্যায় মৃত ১,০০০-রও বেশি
বিল পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে ইরাকে ৯ বছরের বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে দেওয়া বা করার ক্ষেত্রে কোনও আইনি জটিলতা থাকবে। আর ছেলেদের ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হবে। তবে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা, নারী গোষ্ঠী ও সুশীল সমাজের সদস্যরা এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন। প্রস্তাবটিকে অল্পবয়সী মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরূপ বলে অভিহিত করেছেন।
এতে পারিবারিক সূত্রে উত্তরাধিকার, বিবাহবিচ্ছেদ ও সন্তানের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা বাড়বে। তারা আরও বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, এই প্রস্তাব পাস হলে তা ক্ষুণ্ণ হবে। এতে নারীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে বলেও মনে করছেন অনেকে।