Sun, October 6, 2024

ই-পেপার দেখুন

চোপড়ার নিন্দনীয় ঘটনা: সমাধান কীভাবে?

Bipasha Chakraborty

Published: 08 July, 2024, 01:28 PM
চোপড়ার নিন্দনীয় ঘটনা:  সমাধান কীভাবে?



আহমদ আবদুল্লাহ:উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় একটি নিন্দাজনক ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই ঘটনার সকল পাত্র-পাত্রীই মুসলিম। ঘটনাটি হল, চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রাম এলাকায় একটি নিগ্রহের ভিডিয়ো ভাইরাল হয় (পুবের কলম এই ভিডিয়োর সত্য কি না তা যাচাই করেনি)।

ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, এক তরুণ ও তরুণীকে একটি ফাঁকা জায়গায় কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। আর এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূলের এক ছোটখাটো নেতা তাজিমুল ইসলাম। তিনি এলাকায় জেসিবি নামে পরিচিত। তরুণীটিকে শুধু কঞ্চি দিয়েই মারা হচ্ছে না, তার চুলে মুঠি ধরেও তাকে নিগ্রহ করা হচ্ছে। আর এই বিবাহিত তরুণীর প্রেমিক বলে কথিত তরুণটিকেও সমানে পেটানো হচ্ছে। 
ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রিন্ট মিডিয়া সর্বত্রই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। সুকান্ত মজুমদারের গেরুয়া গোষ্ঠী এই ঘটনাকে পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জিহাদি গ্রুপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। আবার অন্য বিজেপি নেতারা বলেন, পশ্চিমবঙ্গ পাকিস্তান হয়ে উঠেছে। 
সবথেকে দুঃখজনক হল, চারদিক ঘিরে দাঁড়িয়ে এই ঘটনাটি স্থানীয়রা উপভোগ করছিলেন কিংবা ছবি তুলছিলেন বা ভিডিয়ো করছিলেন। শুধু একজন পর্দানশিন মুসলিম মহিলা এগিয়ে এসে নির্যাতিতার সহায়তার জন্য দাঁড়ান। তিনি জেসিবির হাত থেকে কঞ্চিগুলি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাকি সকলেই ছিলেন নীরব দর্শক। শেষ পর্যন্ত এই প্রহার ও নির্যাতনের ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। 
উল্লেখ্য হল, এই নিগ্রহের কাজটি যারা করছিলেন তারা কোনও মুসলিম গ্রুপ নয়। সেখানে দাড়িওয়ালা বা টুপি পরা কাউকে লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু সুকান্তবাবুরা ছাড়াও কিছু মুসলিম বুদ্ধিজীবী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা রেছেন। এই ধরনের আইন বর্হিভূত কাজের নিন্দা জাত-ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই যে করবেন তাতে সন্দেহ নেই। নিজের মুখ বাঁচানোর জন্য কোন্ রাজনৈতিক নেতা কী বললেন, তা যদি গর্হিত হয়, তাঁর দিকে অবশ্যই তাঁর দল এবং পুলিশ প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। 
কিন্তু দুঃখের বিষয়, কিছু মুসলিম প্রগতিশীল তরুণ বুদ্ধিজীবী একটি বিবৃতি প্রচার করে তাতে সকলের সমর্থন চেয়েছেন। চোপড়ার ঘটনার নিন্দা করে তাঁরা বিবৃতি দিয়ে সঠিকভাবে নিজের দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু এই বিবৃতি প্রদানকারীরাও সেই প্রবাদ বাক্যেরই শিকার হয়ে পড়েছেন, যাতে বলা হয়েছে ‘সব ব্যাটাকে ছেড়ে দিয়ে নেড়ে ব্যাটাকে ধর’। এরাও ‘নেড়ে ব্যাটাকে’ ধরেছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কেন স্থানীয়রা গোল হয়ে দাঁড়িয়ে এই নির্যাতন দেখছিলেন? হৃদয়ের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখা আদিম মৌলবাদী চেতনা কী তাঁদের বুকে ধিকি ধিকি জ্বলছিল? ..... আমরা ‘অ্যাপোলেজেটিক’ হচ্ছি না শুধুমাত্র আত্মসমালোচনা করার আবেদন করছি। তাজিমুল ইসলাম ও তাঁর সঙ্গী-সমর্থকদের এই মৌলবাদী মানসিকতা ও ঘৃন্য কর্মকাণ্ডের আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

বাঙালি মুসলমান সমাজের কাছে এরা বা এই জাতীয় মানসিকতা হিন্দুত্ববাদী বা জায়োনিস্টদের থেকে কোনও অংশে কম ভয়ংকর না বলে আমরা মনে করি। তাই শুধু গ্রেফতারি না আমরা তাজিমুল ইসলাম ও তার সঙ্গী-সমর্থকদের আইনানুযায়ী বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করছি। সাথে আমরা চিন্তাশীল মুসলিম বাঙালি সমাজের সাথে সাথে বৃহত্তর বাঙালি সমাজের কাছে আত্মসমালোচনার করার জন্য আবেদন করছি। অনুরোধ করছি, নীরব থেকে এই জাতীয় নারকীয় কর্মকাণ্ডকে প্রশয় না দেওয়ার এবং সামর্থ মতো প্রতিবাদ করার।’ 
আবেদনকারীদের মধ্যে বয়োজেষ্ঠ এবং অপেক্ষাকৃত তরুণদেরও নাম দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যেমন ড. রামিজ রাজা, ড. মিরাতুন নাহার, ড. মেহেবুব শাহানা, ইসমাইল দরবেশ, সফিউন নেসা প্রমুখ। তাঁরা এই প্রকাশ্য বিবৃতি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। 
উল্লেখযোগ্য হল, যাদের নাম রয়েছে তাঁদের কারও স্বাক্ষর নেই। কেউ থাকেন ইউকে-তে কেউ কলকাতায় আবার কেউ গ্রাম-বাংলায়। বিবৃতি প্রদানকারীদের সংখ্যা কিন্তু ক্রমবর্ধমান। কারণ, বলা হয়েছে, এই বিবৃতির সঙ্গে সহমত হলে আপনি তা লিখে পাঠান। আপনার নামটি যোগ করে দেওয়া হবে। ফলে নামের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। দু-একজন অমুসলিমও এই বিবৃতিতে সহমত প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে। 
কথা হচ্ছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই ধরনের সচেতনতা বৃদ্ধি, নিন্দা প্রকাশ এবং জনমত গঠন বিশেষ করে বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে এক খুবই প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা। বহুদিন পর এই ধরনের একটি বিবৃতি চোখে পড়ল। নইলে মুসলিমদের মধ্যে সব বিষয়ে চোখবুজে মেনে নেওয়ার প্রচেষ্টা দেখতেই আমরা অভ্যস্ত।

এই চোখবুজে মেনে নেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ‘চিহ্নিত’ হয়ে যাওয়ার ভয়। কী জানি বাবা, মুসলিমদের কথা বলতে গেলে আমাকেই না মৌলবাদী কিংবা দেশদ্রোহী বলে দেগে না দেওয়া হয়। ফলে সমাজের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিই ‘নীরবতা স্বর্ণময়’ নীতি গ্রহণ করাকেই শ্রেয় বা ‘স জীবতি’ মনে করেন। দ্বিতীয় কারণ হল, উদ্যোগের অভাব। প্রথমে এগিয়ে এসে কে সকলকে একত্রিত বা যোগাযোগ করবেন, সেটাও অনেক সময় চুপ থাকার কারণ। যাইহোক, এই বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁরা অবশ্যই একটি উদাহরণ রেখেছেন। 
দেখা যাচ্ছে, চোপড়ার ঘটনাটির ক্ষেত্রে প্রশ্নগুলি হচ্ছে 
১) আইন ভেঙে রাজনৈতিক মাস্তানদের কোনও নারী বা পুরুষের উপর শারীরিক নির্যাতন। সেইসঙ্গে কোনও তদন্ত না করেই সমাজের চোখে ওই নারী বা পুরুষকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা কতটা সঠিক?
২) বিষয়টি সংবাদপত্রে যেভাবে এসেছে তাহল, ওই নারী এক পরপুরুষের সঙ্গে ‘গর্হিত’ সম্পর্ক রাখতেন, যদিও তার স্বামী রয়েছে। মহল্লা কিংবা গ্রামের লোকেরা এই ধরনের পরকীয়াকে মেনে নিতে পারেননি। দেখা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রী, আক্রান্ত এবং আক্রমণকারী সকলেই মুসলিম। তাই বিবৃতিতে আক্রমণ করা হয়েছে ‘হৃদয়ের মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখা আদিম মৌলবাদী চেতনাকে’।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কঞ্চি দিয়ে ওই তরুণ-তরুণীকে নির্মমভাবে পেটানো ‘তাজিমুল ইসলাম এবং তাঁর সঙ্গী-সমর্থকদের এই মৌলবাদী মানসিকতা ও ঘৃন্য কর্মকাণ্ডের আমরা তীব্র নিন্দা করছি।’ কিন্তু প্রশ্ন হল, এই ঘটনায় মৌলবাদীরা কী করে টপকে পড়লেন? মৌলবাদী বলতে প্রধানত আজকের দিনে দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে মুসলিমদেরই বোঝায়। এখানে ওই বিশিষ্ট বিবৃতি প্রদানকারীরা এই ঘটনায় মৌলবাদীদের কীভাবে শনাক্ত করলেন? অথচ তাঁরা মৌলবাদীদের উপরই সব দায় চাপিয়ে দিয়েছেন। এই চাপিয়ে দেওয়া কী সঠিক?
৩) অন্য বিষয়টি হল, পরিবারে স্বামী বিদ্যমান থাকাকালীন বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক না দিয়ে ওই তরুণ এবং তরুণী সমাজের ভাষায় ‘ব্যাভিচার’ এবং মুসলিম পরিভাষায় ‘জেনা’ করে যেতে পারে? 
প্রথম প্রশ্ন সম্পর্কে বক্তব্য হচ্ছে, চোপড়ার ঘটনায় যারা আক্রমণ করেছেন, মহিলা-সহ মানুষকে পিটিয়েছেন তা সর্বতোভাবে নি¨নীয়। যারা এই কাজ করেছেন আইন তাদের বিচার করুক। কোনও অপরাধে শাস্তি প্রদানের জিম্মাদারি রাজনৈতিক বাহুবলীদের থাকতে পারে না। কিন্তু তা হয়েছে। আর এর বিরুদ্ধে ওই রাজনৈতিক দল ও প্রশাসন যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ওই রাজনৈতিক বাহুবলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আক্রান্ত মহিলা (হয়তো সংশ্লিষ্ট তরুণটির জন্যও) পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তার ব¨োবস্ত করেছে। আশা করা যায়, অবৈধ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের জন্য আইন-আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। 
দ্বিতীয় প্রশ্নের বিষয়ে অনেকে বলছেন, বিবৃতিতে এর জন্য রাজনৈতিক মাস্তানি কিংবা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার নি¨া না করে দোষী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে মৌলবাদীদের। কিন্তু কোনও টিভি রিপোর্ট বা সংবাদপত্রে কোনও মৌলবাদীর নাম আসেনি। মৌলবাদীরা ওই ঘটনায় কোনও ‘ফতোয়া’ জারি করেছেন কী না, তাও সামনে আসেনি।

তাহলে মৌলবাদীদের (৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে এই পরিভাষাটি ব্যবহৃত হয় মুসলিমদের জন্য) কেন জোর করে টেনে আনা হচ্ছে? আসলে মৌলবাদ, উগ্র ইসলামপন্থী এইসব কথা না বললে খেলাটি জমে না এবং জাতীয় মিডিয়ার সাপোর্টও পাওয়া যায় না। মৌলবাদী মুসলিমকে টেনে আনলে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ‘প্রগতিশীলদের সংগ্রামকে’ খুবই মহান বলে দেখানো সম্ভব। এটাই সহজ পন্থা। নইলে এক মহিলার উপর অত্যাচারের এক সেক্যুলার বিষয়কে ‘মৌলবাদ’ বলে কেন প্রচার করা হবে? 
যদি এটা হিন্দু বা বাঙালি খ্রিস্টান সমাজে ঘটত এবং পরকীয়ার অপরাধে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা হত, তবে নিশ্চয়ই উপরিউক্ত বিদ্বজনরা ওই ধরনের ঘটনাকে ‘মৌলবাদী’ মানসিকতা বলে ‘ফতোয়া’ দিতেন না। 
তৃতীয় প্রশ্নটি নিয়েও আলোচনা করা যেতে পারে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিবার ভাঙছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব পাশ্চাত্য বহুদিন আগেই উপলব্ধি করেছে। তাই ব্রিটেনে একটি অরাজনৈতিক শ্লোগান হচ্ছে, ‘ব্যাক টু দ্য বেসিক’। পরিবারকে বাঁচানোর জন্য এই বাক্যাবলীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ, আখেরে নীতিহীন কিংবা উদ্যাম জীবনযাপন প্রাচ্য বা পাশ্চাত্য কোথাও কল্যাণ ডেকে আনে না। আর যে দেশে রয়েছে হলিউডের মতো স্বর্গরাজ্য সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চার্চে গিয়ে বা চার্চের বাইরে তরুণ-তরুণীরা শপথ নিচ্ছেন যে, আমরা বিবাহ না হওয়া পর্যন্ত ‘ভার্জিন’ থাকব।

অনেকেই বলবেন, এটা পশ্চাতগামী চিন্তাধারা। ঠিক কথা। কিন্তু যারা এর মূল্য উপলব্ধি করছেন, তাঁরাও এগিয়ে এসেছেন। এখন ষোল ঘাটের জল খাওয়ার পর ভারতে এই ধরনের নীতিবোধ এবং মূল্যমাণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হচ্ছে। অনেকে এর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন। হচ্ছেন বিচারপতিরাও। কারণ, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় সম্প্রতি কলকাতায় বলেছেন, বিচারপতিরাও মানুষ। তাঁরা স্বর্গ থেকে নেমে আসা দেবতা নন। 
শীর্ষ-উচ্চ আদালতগুলির কিছু বিচারপতি রায় দিয়েছেন, স্বামী বা স্ত্রী থাকলেও কোনও মহিলা বা পুরুষ অন্য নারী বা পুরুষের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন। আইনের চোখে এটা অবৈধ হবে না। আবার কয়েকটি উচ্চ আদালতের রায় হচ্ছে, ভারতের মতো দেশের সমাজ ব্যবস্থায় এই ধরনের লিভ টুগেদার সমাজ স্বীকার করে না। তাই যারা লিভ টুগেদার করবেন, তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও নিরাপত্তা দাবি করে তা পেতে পারেন না। এই দ্বিমুখী চিন্তাধারার কোনটি শেষ পর্যন্ত ভারতে প্রতিষ্ঠিত হবে তা এখনই বলা যাবে না। হয়তো ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থা ‘ব্যাক টু দ্য বেসিক’-এ ফিরে আসতে পারে। 
তবে পবিত্র কুরআন ও ইসলাম মনে করে জেনা বা ব্যাভিচার বড় ধরনের অপরাধ, যা সমাজকে ধ্বংস করে। অনেকে সমকামীতাকেও গ্রহণযোগ্য বলে বিচার করেন। কিন্তু ইসলাম মনে করে এই ধরনের সম্পর্ক সমাজ ও পরিবারের মূলভীতকে ধ্বংস করে দেয়। এইডস, মাঙ্কি পক্সের মতো ভয়াবহ রোগের জন্য এই ধরনের জীবনাচরণ দায়ী। এ কথা বলছে পাশ্চাত্যের পত্র-পত্রিকাই। গুগল ব্যবহার করেও তা দেখা যেতে পারে। 
ইসলাম মনে করে ব্যাভিচার, পরকীয়া সমাজ ও পরিবারের জন্য মঙ্গলজনক তো নয়ই, বরং তা দুনিয়া ও আখেরাতের (মৃত্যু পরবর্তী জীবন) জন্য খুবই অকল্যাণকর। রাশিয়ার মতো একটি পাশ্চাত্য দেশও সমকামীতাকে অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে। কিন্তু আধুনিক যুগে তো ‘পস¨ আপনা আপনা’। 
এ বিষয়ে আরও বলা যায়, এই ধরনের ঘটনারও আদালতে বিচার করতে হবে। নইলে বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমেও সমাধান খোঁজা সম্ভব। আর কেউ মানুক বা না মানুক, মুসলিমদের জন্য পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে শরীয়াহ ভিত্তিক পরামর্শ প্রদানের সংস্থা। তাঁরা দেশের আইন ও ইসলামের কানুনের মধ্যে থেকে পালনযোগ্য সমাধান বাতলে দেন। তবে তা শুধুমাত্র খোদাভিরু লোকেরাই গ্রহণ করে। তাঁদের পরামর্শকে লাগু করার জন্য কোনও জোর জবরদস্তি করা হয় না। 
তবে একটি কথা অবশ্যই বলতে হবে, সকল ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তা করতে পারেন রামকৃষ্ণ মিশন বা স্বামী বিবেকানন্দের অনুসারীরা। আর মুসলিমদের মধ্যে প্রাজ্ঞ আলেম এবং কিছু ইসলাম অনুসারি সংগঠন। যারা এইসব বিষয়ে সবর তাঁরা কিন্তু গ্রামে গিয়ে লোকদের মুখোমুখি হয়ে তাদের বোঝানো বা পরামর্শ দেওয়ার মতো কাজে খুব একটা সক্রিয় নন। 

 

Leave a comment