পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে বৈরুত সফরে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। লেবাননে পৌঁছে এক সাংবাদিক বৈঠকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের সেনার হামলার পরিকল্পনা কথা উড়িয়ে দিয়ে আরাকচি বলেছেন, ইরানিয়ান সেনার হামলার কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে ইরানের ওপর যদি ইহুদি বাহিনী হামলা চালায় তাহলে ইরান হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।
এদিন বিদেশমন্ত্রী বলেন, গত ১ অক্টোবর ইরান ইহুদি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে যে আক্রমণ শানিয়েছে, তা নিজের আত্মরক্ষার একটি সবচেয়ে বড় উদাহরণ।রাষ্ট্রসংঘ সনদের অধীনে এটিকে বৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। আরাকচি আরও বলেন, আমরা নতুন করে আক্রমণ শুরু করতে চাই না, আমরা আক্রমণ শুরু করিনি, তবে ইরানের মাটিতে, দামেস্কে ইরানি দূতাবাসের বিরুদ্ধে এবং ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের জবাব দিয়েছি।
ইরান বনাম ইসরাইল কার কত সামরিক শক্তি?
Breaking: আমরা কাজে ফিরতে চাই, এক্ষুনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই: আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা
আরজি করে নারকীয় হামলায় বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন চিহ্নিত, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট পুলিশের
ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনসংখ্যার কেন্দ্রগুলিকে লক্ষ্য করে, আমরা একাই (ইসরায়েলি) শাসনের সামরিক ও নিরাপত্তা কেন্দ্রগুলিতে আঘাত করেছি। আরাকচি স্পষ্ট করে দিয়েছেছেন, যে ইরানের হামলা চালিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই, তবে ইহুদিবাদী সরকার ইরানের বিরুদ্ধে অন্য কোনও পদক্ষেপ নিলে তেহরান অবশ্যই প্রতিক্রিয়া দেবে, সেই পদক্ষেপ আরও কঠোর হবে।
লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি লেবাননের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করছেন। আমাদের প্রচেষ্টা হবে লেবাননের জনগণের অধিকার সমুন্নত করা, আর দ্বিতীয়ত দ্বিতীয়ত, এটি গাজায় যুদ্ধবিরতির সাথে মিলে যায়। লেবাননকে ইরান সমর্থন করবে, এবার ইহুদিশক্তির পতন হবে, আর লেবাননের জয় হবে।
লেবানন সফরকালে আরাকচি উল্লেখ করেছে, যখন ইহুদিবাদী শাসক বৈরুতে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করছে, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দৃঢ়ভাবে হিজবুল্লাহ এবং লেবাননের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।