আজ জুমার খুতবা দেবেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি, তেহরানে হাজারো মানুষের ঢল
সমাজসেবায় ডা. পার্থপ্রতিম পুরস্কৃত হলেন আহমদ হাসান ইমরানের হাতে
রেমাল তান্ডবে লণ্ডভণ্ড ওপার বাংলা, ১ শিশু ও ১ মহিলা-সহ মৃত ১০
ইসরাইলের চেয়ে এগিয়ে ইরান
ফায়ার পাওয়ারের তথ্যানুযায়ী, ইসরাইলের চেয়ে সামরিক শক্তিতে কিছুটা এগিয়ে ইরান। হিসাব অনুযায়ী, নিয়মিত সেনার সংখ্যা, সামরিক উড়োজাহাজ, পরিবহন উড়োজাহাজ, সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান, সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজের সংখ্যায় ইসরাইলের তুলনায় বেশ এগিয়ে ইরান। আবার রিজার্ভ সেনা, যুদ্ধবিমান, হামলায় ব্যবহৃত হেলিকপ্টার ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় এগিয়ে আছে ইসরাইল। নিয়মিত সেনাতেও ইসরাইলের চেয়ে অনেক এগিয়ে ইরান। ইরানের যেখানে নিয়মিত সেনার সংখ্যা ৬ লক্ষ ১০ হাজার, সেখানে ইসরাইলের ১ লক্ষ ৭০ হাজার।। তবে রিজার্ভ সেনা ইসরাইলের কাছে বেশি। এদিকে, ইসরাইলের কাছে ইরানের চেয়ে দ্বিগুণ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ইসরাইলের কাছে যুদ্ধবিমান রয়েছে ২৪১টি। ইরানের কাছে ১১৬টি। ইরানের চেয়ে হামলায় ব্যবহৃত হেলিকপ্টারের সংখ্যাও ইসরাইলের বেশি। ইরানের এমন হেলিকপ্টার আছে ১৩টি, আর ইসরাইলের ৪৮টি। অবশ্য ট্যাঙ্ক বেশি আছে ইরানের। দেশটির ট্যাঙ্কের সংখ্যা ১,৯৯৬টি। ইসরাইলের আছে ১,৩৭০টি। ইসরাইলের চেয়ে ২০ হাজার বেশি সাঁজোয়া যানও আছে ইরানের। তবে উল্লেখ্য যে, ইসরাইলের যুদ্ধাস্ত্রের বেশির ভাগই সর্বাধুনিক। তবে ইরানের এক্ষেত্রে নিজস্ব প্রযুক্তি ও রাশিয়া–চিনের কিছুটা সহায়তাই ভরসা। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে পশ্চিমা বিশ্বের কাছ থেকে অস্ত্র ও সামরিক প্রযুক্তি কেনার বিষয়টি কঠিন হয়ে যায় ইরানের। আর ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় পড়ার পর থেকে তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তবে ইরান বসে থাকেনি। নিজেদের সামর্থ্যেই সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে ইরান সফলও হয়েছে বেশ।
ইরানের মূল শক্তি কোথায়
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও অত্যাধুনিক ড্রোন নিয়ে চিন্তায় রয়েছে পশ্চিমারা। নিজেদের সামর্থ্যে এমন সব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে ইরান, যেগুলোর কারণে ইসরাইলসহ অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্র ইরানকে যথেষ্ট ভয় পায়। যুদ্ধবিমানের সংখ্যা কম থাকায় আকাশপথে শত্রুকে লন্ডভন্ড করা ইরানের পক্ষে কঠিন। তাই পরিকল্পিতভাবেই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা শক্তিশালী করায় মনোযোগ দেয় ইরান। দেশটির অন্যতম বিরোধী শক্তি হল যুক্তরাষ্ট্র। সেই মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের দেওয়া তথ্যই বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় মজুত আছে ইরানের। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালকের অফিস বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল আছে কেবল ইরানেরই। খুব নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে না পারলেও এসব মিসাইল বিক্ষিপ্তভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে সক্ষম। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ইসরাইল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় আছে। ফলে শত্রুপক্ষের ক্ষয়ক্ষতি সাধনের ক্ষমতা ইরানের ভালোই আছে।