পুবের কলম প্রতিবেদক: আর জি কর-কাণ্ডের জেরে নারী ও শিশুদের সুরক্ষার স্বার্থে বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার বিধানসভায় ‘অপরাজিতা’ বিল পেশ করে। সেই বিল বিধানসভায় সর্বসম্মতিতে পাস হয়। শুধু তাই নয়, বিল পাস করিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার দেখার রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতি এই বিলে অনুমোদন দেন কি না। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ¨ বোস দাবি করেন, টেকনিক্যাল রিপোর্ট রাজ্য পাঠাইনি। তাই বিলে সই করা সম্ভব নয়। এই নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। দিনভর এই জল্পনার মধ্যেই অবশ্য বিকেলে রাজভবন থেকে খবর আসে ‘টেকনিক্যাল রিপোর্ট’ হাতে এসেছে রাজ্যপালের। আর তার পরই তা রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। এ দিন এক্স হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্ট করা হয়েছে রাজভবনের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে। তাতে জানানো হয়, শুক্রবার মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি রাজভবনে আসেন।
রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হয় টেকনিক্যাল রিপোর্ট। তা খতিয়ে দেখে বিলটি রাষ্ট্রপতি ভবনে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজভবন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিধানসভায় ধর্ষণবিরোধী ‘অপরাজিতা নারী ও শিশু বিল’ পেশ করা হয়। বিজেপি এর বিরোধিতা করেনি।
মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে
পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরানো হচ্ছে না বিনীত গোয়েলকে
Breaking: বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশ রাজ্য সরকারের
ওইদিন বিধানসভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি বিধায়কদের অনুরোধ করেন, রাজ্যপালকে বলার জন্য যাতে এই বিলে তিনি দ্রুত সই করে দেন। এই গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজভবনের স্বাক্ষর না মিললে ধরনায় বসার কথাও বলেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, হাওড়া কর্পোরেশন বিল, লিঞ্চিং বিরোধী বিল-সহ একাধিক জনস্বার্থ সম্পর্কিত বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল আনন্দ বোস।