Tue, September 17, 2024

ই-পেপার দেখুন

টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন লাভপুরের বিস্তীর্ণ গ্রাম, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

Bipasha Chakraborty

Published: 03 August, 2024, 02:29 PM
টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন লাভপুরের বিস্তীর্ণ গ্রাম, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

 

দেবশ্রী মজুমদার, লাভপুর: টানা বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন ইলামবাজারের লীর্ষা, নলহাটি সহ লাভপুরের বিস্তীর্ণ গ্রাম। বৃহস্পতিবার বিকেল রাত থেকে একটানা বৃষ্টি ও রাতে ভারি মাত্রায় বৃষ্টির জেরে লাভপুর গ্রামের বিপ্রুটিকুড়ি গ্রামের সরপা, তালবোনা, মালিকপুর সহ একাধিক গ্রাম এখন জলমগ্ন। 

এই বৃষ্টির জেরে রাস্তার উপর দিয়ে যেমন জল বয়ে চলেছে। তেমনি ভেসে গেছে মাঠ ঘাট। অনেক জমিতে বর্ষার ধান রোয়া গেছে। সেই জমি জলের তলায়। জল না নামলে ধান গাছ পচে যাওয়ার সম্ভাবনা। ফলে ফসলের প্রভূত ক্ষতি হবে। অন‍্যদিকে, গ্রামের ভিতরে জল ঢুকে গেছে। গ্রামের মাটির ঘরে ঢুকে পড়েছে। জল। এর ফলে মাটির বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। গ্রামের মানুষের সাথে কষ্ট পাচ্ছে গবাদি পশু। 

জানা গেছে, বীরভূমের লাভপুর ব্লকে জামনা পঞ্চায়েতে ফিংটোর গ্রামে রাস্তায় বেহাল অবস্থা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে। এই যে রাস্তা তার কোন উন্নয়ন হয়নি এখনো পর্যন্ত। রাস্তাটির পরিমাপ হলো এক কিলোমিটার গ্রাম থেকে মাঠে যাওয়ার মেন রাস্তা। গ্রামের পুরো চাষিরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে।

গ্রামবাসীরা পঞ্চায়েতে এবং ব্লক অফিসে জানিয়েও এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন‍্যদিকে, ইলামবাজারের শীর্ষা পঞ্চায়েত জলমগ্ন হওয়াই চিন্তায় পড়েছেন এলাকাবাসীরা। কঙ্কালীতলা মন্দিরে জল ঢুকেছে। গোয়ালপাড়া ব্রীজেও জল বয়ে চলেছে। কোপাই নদীর জল বিপদ সীমার মধ্য দিয়ে বইছে। শান্তিনিকেতন থেকে সিউড়ি যাওয়ার রাস্তার ওপর গোয়ালপাড়ায় কোপাই নদীর সেতুর ওপর দিয়ে জল। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন সাধারণ মানুষ। জলস্তর বাড়ছে।

অন‍্যদিকে, দুদিনের এই বৃষ্টিপাতের ফলে শুক্রবার জলমগ্ন নলহাটি দুই নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলগ্রামের চকপাড়া।  শুক্রবার সকাল নটা নাগাদ ধরা পরলো সেই ছবি। জানা গেছে,  নিকাশি ব্যবস্থা ঠিকঠাক না থাকার ফলে এবং রাস্তা থেকে পাড়াটি অনেকটা নিচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। আর এই নিম্নচাপের ফলেই গতকাল থেকে টানা বৃষ্টিপাতের জেরে কোথাও এক কোমর আবার কোথাও এক হাঁটু জল জমেছে।

এমনকি বাড়ির ভেতরেও জল ঢুকে গিয়ে  বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসীরা। বেশির ভাগই মাটির বাড়ি হওয়ায় ভেঙে পড়ার আতঙ্কেও রয়েছে ওই পাড়ার বাসিন্দারা।খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শনে গেছেন তৃণমূলের সদস্যরা। কিভাবে এর সুব্যবস্থা করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। এ বিষয়ে বেলা এগারোটা নাগাদ কি বলছেন এলাকাবাসীরা ও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গৌতম মন্ডল নেমে পড়েছেন মানুষের সাহায্যে।

 দাসকল গ্রাম কড়েয়া ১নং অঞ্চলের শ্বাসপুর গ্রামের শ্যামল দাস,সুকুমার দাসদের মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে।

আর তাই বাড়ির জিনিসপত্র নিয়ে আপাতত ঠাঁই হয়েছে সিউড়ি কাটোয়া রাজ্য সড়কের ধারে ১টি ছোট্ট দোকানঘরের বারান্দায়। সেখানে দাঁড়িয়েই বিপর্যয়জনিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষা করছেন দাস পরিবারের সদস্যরা। 

উল্লেখ্য, দাস পরিবারে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা সহ প্রায় ডজন খানেক সদস্য সদস্যা যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল একমাত্র মাটির ঘরটিই, আর সেই ঘরটি এবার কার্যত হারাতে বসেছেন তারা। এদিকে শ্যামল দাস সুকুমার দাসদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে বারবার আবেদন করে ও আবাস যোজনার কোন ঘর পাননি তারা, আর তাই বাধ্য হয়েই পুরানো মাটির ঘরে বসবাস করছিলেন এতদিন।  ঘটনার খবর ঘটনা স্থলে এসে সংশ্লিষ্ট জায়গা পরিদর্শন করলেন দাসকলগ্রাম কড়েয়া ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। প্রধান তাদের বাড়ি পরিদর্শন করলেও তাদের কোনরকম কিছু আশ্বাস দেননি বলে অভিযোগ।

Leave a comment