পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কবে স্কুল খুলবে সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। জেলায় জেলায় এই নিয়ে চলছে বিক্ষোভ। স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে এবার হাইকোর্টে এক সপ্তাহ সময় চাইল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন মামলার শুনানিতে আদালতকে জানানো হয়েছে, স্কুল খোলার ব্যাপারে সায় আছে রাজ্য সরকারের। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ হয়েছে। কিন্তু, ১৫ বছরের নীচে কারও ভ্যাকসিনেশন হয়নি। শিশুদের বিষয়ে আমাদের অতিরিক্ত দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্প চালু করছি।’ রাজ্য জানিয়েছে, স্কুল খোলার ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মতামতও নেওয়া হচ্ছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী এক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, পরিস্থিতি ঠিক না হলে এখনই স্কুল খোলার ব্যাপারে কোন ঝুঁকি নিতে চায় না রাজ্য সরকার। তবে স্কুল খুলতে ইচ্ছুক রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, কবে স্কুল খোলা হবে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, স্কুল খোলার পক্ষেই আছে সরকার। তবে সব স্কুলই ধাপে ধাপে খুলতে চাই।
তবে শিক্ষামন্ত্রী এদিন আশ্বস্থ করে বলেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ শুরু হচ্ছে। শিক্ষালয় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বিস্তারিত ভাবে জানিয়েছেন, করোনাবিধি মেনেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিশু কেন্দ্রের সহায়িকা, প্যারা টিচাররা এই পাড়া শিক্ষালয়ে শিক্ষাদানের দায়িত্বে থাকছেন। ৬০ লাখেরও বেশি পড়ুয়া উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি’। এই মুহূর্তে রাজ্যের ৫০ হাজার ১৫৯ টি প্রাথমিক স্কুলে এবং ১৫ হাজারের বেশি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। শিক্ষক থাকছেন ২ লক্ষের বেশি’।
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্য সরকার পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি শুরু করছে। এই পাড়ায় শিক্ষালয় কথাটির নামকরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত শিশুদের সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি, পড়া ও লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন নাচ, গান, আবৃত্তির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। আপাতত রাজ্যের ৫০ হাজার ১৫৯ টি প্রাথমিক স্কুলে এবং ১৫ হাজারের বেশি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। মোট ২ লাখেরও বেশি শিক্ষক থাকছেন এই ব্যবস্থায়। এর মাধ্যমে ৬০ লাখেরও বেশি পড়ুয়া উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। শিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘শিশুদের মনোসামাজিক সহায়তা এবং সামাজিক- আবেগজনিত শিক্ষা প্রদান করা হবে৷ শিল্প ও নৈপুণ্যের দক্ষতাও বৃদ্ধি করা হবে৷’
শিক্ষা দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘উন্মুক্ত স্থানে এই সব অধিবেশনে পড়ার অভ্যাস করানো, সংখ্যার ধারণা ও প্রাথমিক স্তরে গণিত চর্চা, সাংস্কৃতিক ও মানসিক বিকাশের বিভিন্ন পাঠক্রম দেওয়া হবে৷পাড়ায় শিক্ষালয়ের মাধ্যমে শিশুদের পড়া, লেখা এবং সংখ্যা সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে৷