Sun, October 6, 2024

ই-পেপার দেখুন

নজরে রথ ও মহরম, অশান্তি রুখতে কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ

ইমামা খাতুন

Published: 06 July, 2024, 08:43 PM
নজরে রথ ও মহরম, অশান্তি রুখতে কড়া নিরাপত্তার নির্দেশ

 

পুবের কলম প্রতিবেদক: উৎসব-অনুষ্ঠানের সময়ে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মানুষের মধ্যে বিবাদ বাধানোর চেষ্টা করে। শুধু তাই নয়, মানুষের অসতর্কতার জন্য দুর্ঘটনাও ঘটে। তবে রাজ্যের পরিস্থিতি যেন শান্তিপূর্ণ থাকে এবং সবকিছু নির্বিঘ্ন হয়, সেদিকে নজর দেয় প্রশাসন। তাই আন্যান্য বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবারও রথযাত্রা ও আসন্ন মুহাররম নিয়ে উচ্চপর্যায়ের পুলিশ বৈঠক হয় ভবানীভবনে। পুলিশ প্রশাসনের ওই বৈঠকে দু’টি উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে শেষ করা যায়, কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়।

সূত্রের খবর, বিগত কয়েক বছরে রথের দিন বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কোথাও রথযাত্রার পথে বৈদ্যুতিন তার পড়েছে, কোথাওবা গাছের ডালের জন্য দুর্ঘটনা হয়েছে। এবার এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে গত পাঁচ বছরে রথের দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে। বিগত বছরগুলিতে কী ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তার পুর্নমূল্যায়ন করে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। প্রশাসন চাইছে, উৎসব হোক শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন।

জানা গিয়েছে, প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা বলে দিয়েছেন জেলার যেসব রাস্তা দিয়ে রথ যাবে, সেখানে যাতে বৈদ্যুতিন তার পড়ে না থাকে বা তার না ঝোলে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পৌরসভাগুলিকে গাছের ডালপালা ছাঁটতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কলকাতায় ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় ৭৪টি রথ বের হয়। এর মধ্যে সাতটি বড় রথ থাকে। রথে ভিড় সামলাতে থানাগুলিকে সতর্ক করেছে লালবাজার। যে রুট দিয়ে রথ যাবে সেখানে বাড়তি বাহিনী রাখা হচ্ছে। গত বুধবার গণপিটুনি, ডাকাতি এবং মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে নবান্নের তরফে যে গাইডলাইন ইস্যু হয়েছে তা নিয়েও পর্যালোচনা হয়েছে।

লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতার জন্য প্রায় দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকছে। যে সব রাস্তায় দিয়ে রথ টানা হবে সেখানে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিকরা থাকবেন। রথ টানা নিয়ে কোথাও যাতে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। মুহাররম মাসের প্রথম থেকেই শহর কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় আসুরা উপলক্ষে তাজিয়ার মহড়া হয়। সেইদিকেও নজর রাখবে প্রশাসন। জেলাতেও নানান কর্মসূচি থাকে সেগুলি যাতে নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণভাবেই হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন।

কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা বা দুই ধর্মাবলম্বী মানুষের মধ্যে কোনও অশান্তির বাতাবরণ না ছড়ায় তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে ছিলেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা, এডিজি-আইবি, এডিজি-সিআইডি থেকে শুরু করে এডিজি-ট্রাফিক এবং ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি। সেই বেঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের সিপিরা।

এডিজি-আইনশৃঙ্খলা বিভিন্ন জেলার এসপি ও সিপিদের বলেন, গ্যাংস্টাররা ধরা পড়ছে যেমন, তেমনই তাদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়ে নজর রাখতে হবে। আদালতে পেশ করার সময় যে নথি লিখে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনে সুপিরিয়র অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জমা দিতে বলেন এডিজি-আইনশৃঙ্খলা। অনেক সময় নথিপত্রের ত্রুটির জন্য ছাড়া পেয়ে যায় অপরাধীরা। আদালতে পেশ করার সময় যাতে কোনও ভুল না হয়, সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখতে পুলিশকে সক্রিয় হওয়া ও এলাকার গ্যাংস্টারদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বলেছেন এডিজি-আইনশৃঙ্খলা। 

 

 

Leave a comment