পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বুধবার রাতে পুণের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে প্রবীণ অভিনেতা বিক্রম গোখলের। শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করেন একাধিক তারকা। মুম্বইয়ের একাধিক সংবাদপত্র সহ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই খবরে সীলমোহর দেয়। তবে সবটাই গুজব বলে দাবি করা হয়েছে অভিনেতার পরিবারের পক্ষ থেকে। বিক্রম গোখলের স্ত্রী এবং কন্যা ট্যুইট করে দাবি করেছেন ভেন্টিলেশনে অত্যন্ত সঙ্কটজনজ অবস্থায় থাকলেও এখনও বেঁচে আছেন বিক্রম। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের পক্ষ থেকেও বিবৃতি দেওয়া হয়েছে যে বিক্রম এখনও বেঁচে আছেন।
সদ্য প্রয়াত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। তিনি ভেন্টিলেশনে থাকার সময় রটে সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে যায় তিনি মারা গিয়েছেন। তখন তাঁর বিশেষ বন্ধু সব্যসাচী তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া প্রতিক্রিয়াও দেন।
গত ১৫দিন ধরে পুনের ওই হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোন বুলেটিন দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিক্রম গোখলের মৃত্যু সংবাদ রটতেই এবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিল পুণের দীননাথ মঙ্গেশকর হাসপাতাল।
হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতে তিনি ছিলেন ঐশ্বর্য রাইয়ের বাবা। , ১৯৭১ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে অমিতাভ বচ্চনের ‘পরওয়ানা’ ছবির মাধ্যমেই অভিনয় জগতে যাত্রা শুরু করেন বিক্রম গোখলে। হিন্দি এবং মারাঠি চলচ্চিত্র এবং থিয়েটারে দাপিয়ে কাজ করেছেন অভিনেতা বিক্রম গোখলে। অভিনেতার গলায় কিছু সমস্যার কারণে থিয়েটারকে বিদায় জানিয়েছিলেন আগেই। হাম দিল দে চুকে সনম, অগ্নিপথ, খুদাগাওয়া, ক্রোধ, বলবান, জজবাত, লাকি: নো টাইম ফর লাভ, কিসনা: দ্য ওয়ারিয়র পোয়েট, কুছ তুম কহো কুছ হাম কহে, ভুল ভুলাইয়া, তুম বিন, ব্যাং ব্যাং, ফিরঙ্গী, হিচকি, আইয়ারি, মিশন মঙ্গল-সহ একাধিক হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি থিয়েটারের মঞ্চেও অভিনয় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।