উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : দীর্ঘ দিন আগে ব্রীজ তৈরি হয়েও এ্যাপ্রোচ রোডের অভাবে এখনো যান চলাচল চালু না হওয়ায় সমস্যায় সুন্দরবনের তিনটি ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বাম আমলে নির্মিত ঢাকির ব্রীজ এখনো যান চলাচলের যোগ্য হয়ে ওঠেনি।৮ মার্চ ২০০৮সালে তখন ছিল বামফ্রন্টের শাসনকাল ,সেই সময়ে ঢাকি ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়।
তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি ও ভূমি দফতরের মন্ত্রী আব্দুল রেজ্জাক মোল্লার উপস্থিতিতে এই ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। রায়দিঘির বিধায়ক তথা তৎকালীন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের সময়ে যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হলে ও পরে তা বন্ধও হয়ে যায় ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কারণে। আর এই নির্বাচনে তিনি ও পরাজিত হন তৃণমূলের দেবশ্রী রায়ের কাছে।তার পরে বেশ কয়েক বছর ব্রিজের কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে।
সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের সহায়তায় আবার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দেবশ্রী রায়ের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হলেও আবার চলে আসে বিধানসভা নির্বাচন। আর তাতেই রায়দিঘি বিধানসভা থেকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস দেবশ্রী রায়কে প্রার্থী না করে রায়দিঘির ভূমিপুত্র ডা: অলক জলদাতাকে প্রার্থী করে। তিনি জয়লাভ করেন। এলাকার মানুষজন একাধিক দফতরে ব্রীজের কাজ শুরু হওয়ার কথা জানানোর পর অবশেষে কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে।
কিন্তু দুই দিকের জমি জটের সমস্যায় আবার কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে।কুলতলি বিধানসভার অধীনে জয়নগর ২ ব্লকের চুপড়িঝাড়া পঞ্চায়েতের ঢাকি ব্রিজ টি কাজ বন্ধ হয়ে যায়।কুলতলিতে ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হন গণেশ চন্দ্র মন্ডল। আর এরপরে দুই বিধানসভার সংযোগকারী ঢাকি ব্রিজের এপ্রোচ রোডের জমি জট কাটিয়ে অ্যাপ্রোচ রোডের মাটির ফেলার কাজ এবছর শুরু হলেও বর্ষা নামায় তা বন্ধ হয়ে যায়।
এই ব্রিজের বরাতকারী ঠিকাদার সংস্থা দীর্ঘ দিন ধরে ঠিক মতো কাজ না করায় চরম দুর্দশায় ও দুরবস্থার মধ্যে তিনটি ব্লকের কয়েক হাজার মানুষজন।বিশেষ করে কুলতলি থেকে রায়দিঘি কলেজ কিংবা রায়দীঘি গ্রামীন হাসপাতালে যেতে গেলে খুবই সমস্যা পড়তে হয় এলাকার মানুষের।
Read more: জয়নগরে নাবালিকা ছাত্রী খুনের ময়নাতদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য, সিবিআই তদন্তের দাবি বাবার
স্থানীয় মানুষজন জানান, আমাদের এখনো একমাত্র ভরসা খেয়া পারাপার। যাত্রী ঠিকমতো না হলে পারাপার সম্ভব হয়ে ওঠে না তার উপরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে আর কথাই নেই। চরম দুর্ভোগে যাতায়াত করতে হয় আমাদের। কবে এই নরক যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবো সেদিকে তাকিয়ে আছি আমরা।
আমরা চাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক।এব্যাপারে কুলতলির বিধায়ক গনেশ চন্দ্র মন্ডল ও রায়দীঘির বিধায়ক ডাঃ অলক জলদাতা বলেন,সব সমস্যা মিটে গেছে খুব শ্রীঘ্রই চালু হবে সুন্দরবনের বহু প্রতীক্ষিত ঢাকী ব্রীজ।