পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: তিনি একজন সাংসদ ও সেইসঙ্গে অভিনেতা। যে সে অভিনেতা নন তিনি হচ্ছেন বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি দেওল। তবে একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি যতই সুনাম কুড়োন না কেন, সাংসদ হওয়ার পর থেকে সানির কপালে জুটেছে খালি অভিযোগ।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গুরুদাসপুরের বিজেপি সাংসদ হওয়ার পর থেকে সাধারণের মাঝখানে সানির দেখা পাওয়া যায় না। কার্যত সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। আর এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে নিরুদ্দেশ পোস্টারে। পঞ্জাবে সানি দেওলের নামে ‘নিরুদ্দেশ’ পোস্টারে পোস্টারে ছয়লাপ।
গুরদাসপুরের বিজেপি সাংসদ সানির নামে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, সাংসদ হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের তার কোনও যোগসূত্র তৈরি হয়নি। ভালো-মন্দের খবর নেওয়ার কোনও চেষ্টাই করেননি সানি। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে কোনও প্রয়োজনেই পাওয়া যায় না, অভিনেতা, সাংসদকে। এককথায় বলা যায় ‘নিরুদ্দেশ’ ধর্মেন্দ্র পুত্র। পাঠানকোটের বাড়ির দেওয়াল থেকে রেল স্টেশন, এমনকী গাড়ির পিছনেও সেঁটে দেওয়া হয়েছে সানি দেওলের নিরুদ্দেশ হওয়ার পোস্টার। যেখানে লেখা, “নিরুদ্দেশের খোঁজ চলছে।”
২০১৯ সালে গুরদাসপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে জয়লাভ করেন অভিনেতা সানি দেওল। জয়ের পিছনে ছিল তার জনপ্রিয়তা। স্থানীয় মানুষের দাবি, কাজ না করলে এবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিক ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি দেওল। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সরব এক স্থানীয় বাসিন্দা ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, সানি দেওল নিজেকে পঞ্জাবের ছেলে বলে দাবি করেন। অথচ সাংসদ হওয়ার পর কখনও গুরদাসপুর আসেননি। কোনও শিল্পোন্নয়ন ঘটেনি এখানে। সাংসদদের জন্য বরাদ্দ অর্থ খরচ করে কোনও উন্নতি করা হয়নি। এমনকী কেন্দ্রীয় প্রকল্পে স্কিমও চালু করেননি তিনি।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, কৃষি বিল প্রত্যাহার আন্দোলনের সময়ও তাকে দেখা যায়নি। নিজের এলাকা নিয়ে উদাসীন সানি দেওল। আর সেই কারণেই অভিনেতা সাংসদের নামে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নিরুদ্দেশ পোস্টার ছাপিয়ে বিক্ষোভে নেমেছে স্থানীয় মানুষ।
উল্লেখ্য, এর আগে সাংসদ হিসেবে সাধারণ মানুষের বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। এবারেও তার অন্যথা হল না।