পুবের কলম প্রতিবেদকঃ পুরভোটে জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। উল্লেখযোগ্য ভাবে এ বছরে কোন বিধায়ককে প্রার্থী করেনি তৃণমূল কংগ্রেস তার বদলে প্রার্থী তালিকায় নতুনদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ১০৮ পুরসভার মধ্যে একমাত্র দার্জিলিংয়েই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলো না এদিন তবে সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ঘোষণা করেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা আলোচনা করে প্রকাশ করা হবে।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি সুব্রত বক্সী, দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
এ দিন ঘোষিত প্রার্থী তালিকা নাম নেই একজনও বিধায়ক। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব বলেন, নতুনদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবারের পুরসভা নির্বাচনে। নবীনপ্রবীনের সম্বন্বয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোনও বিধায়ক নেই প্রার্থী তালিকায়। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তিকেও সুযোগ দেওয়া হয়নি।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, সকলকে তো সুযোগ দেওয়া যায় না। সকলে ফার্স্ট বয় হতে পারে না। কিন্তু এই তালিকা মেনে ভোট হবে কোনও কান্দল বরদাস্ত করা হবে না।
এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, যারা এবারে টিকিট পেলেন না তাঁরা সকলেই দলে রয়েছেন। দলের জন্য কাজ করবেন। পরবর্তীতে আবারও সুযোগ আসবে।
প্রসঙ্গত এক ব্যক্তি এক পদ এই নীতিকে গুরুত্ব দিয়েই এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তালিকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার প্রার্থী রয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার মতামত নেওয়া হয়েছে। সর্বস্তরে আলোচনা করেই প্রার্থী তালিকা করা হয়েছে। এখানে মতভেদের কোনও জায়গা নেই বলেই দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। একই সঙ্গে পার্থবাবু প্রার্থীদের সাবধান করে দিয়ে বলেন, এমন কোনও কাজ কেউ করবেন না যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তায় আঘাত লাগে।
এমনকি যাঁকে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে তাঁকেই সমর্থন করতে হবে বলেও বার্তা তৃণমূল মহাসচিবের। তাঁর মতে, ক্লাসে সবাই ফার্স্টবয় হতে পারে না।প্রার্থীতালিকায় নবীনপ্রবীণ সমন্বয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কলকাতা পুরভোটের মতোই নির্দল প্রার্থীদের যে কোনো ভাবে মেনে নেওয়া হবে না এদিন দলীয় সূত্রে সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ১০৮টি পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি।