পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় সিবিআই গতকালই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। মোবাইলের সূত্র ধরে এদের গ্রেফতার করা হয়। এদের সকলকে আজ ট্রানজিট রিমাণ্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের সঙ্গী বাপ্পা শেখ, সাবু শেখ-সহ আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিবিআই। চলতি বছরে একুশে মার্চ ভাদু খুনের পর অগ্নিসংযোগে ন’জনের অগ্নিসংযোগে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সারা বাংলা। তারপর থেকেই মূল অভিযুক্ত লালন সেখ ফেরার। এবার সিবিআইয়ের হাতে আরও দায়িত্ব দিল হাই কোর্ট।
উল্লেখ্য, ভাদু শেখ হত্যা মামলারও তদন্ত করতে সিবিআই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বগটুইয়ের পাশাপাশি ভাদু হত্যাতেও সিবিআই তদন্তের দাবি উঠছিল প্রথম থেকে। শুক্রবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, সিবিআই উপপ্রধান খুনেরও তদন্ত করবে। আদালতের বক্তব্য, অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে ভাদু শেখ খুনে যোগসূত্র আছে। মামলাকারী আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, ভাদু শেখ খুনে সিবিআই তদন্ত করুক। আমরা রিট পিটিশনও করেছিলাম, ভাদু শেখ খুন ও তার পরবর্তী পর্যায়ের ঘটনার মধ্যে ইন্টারলিঙ্ক রয়েছে। দুটি আলাদা ঘটনা নয়। তাই আমরা বলেছিলাম, দুটো ঘটনাই সিবিআই তদন্ত করুক। কোর্টের নির্দেশে একটা জায়গায় অস্পষ্টতা ছিল। আমি এটা আদালতের নজরে আনি। আমাকে একটা অ্যাপ্লিকেশন ফাইল করতে বলা হয়েছিল। আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়টিতে মান্যতা দিল।
তবে এদিন সিবিআই-এর বক্তব্য ছিল, ঘটনার পর ১১ দিনের বেশি কেটে গিয়েছে। তাই অনেক তথ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সিবিআই এক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করবে বলেও সিবিআই এদিন আদালতে জানায়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। সেই রাতেই দুষ্কৃতীরা গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনায় আট জনের মৃত্যু হয়। ফরেনসিক রিপোর্টে দাবি, আটজনকে প্রথমে কুপিয়ে তাদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে শেখলাল শেখের স্ত্রীয়ে মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট কাণ্ডের তদন্ত ভার নিয়েছে সিবিআই। রামপুরহাট সাসপেন্ডেড এএসআই ও কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানো এসডিপিওকে জেরা করা হয়েছে। মৃত্যু আগেই নাজেমা বিবির বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই।