পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান শেষে আজ ভারতের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান-৩। শুক্রবার ঠিক দুপুর ২. ৩৫ মিনিট ছিল সেই কাঙ্খিত মুহূর্ত। সেই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী থাকলেন বিজ্ঞানী ছাড়াও দেশ-বিদেশের বহু মানুষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
তবে এই চন্দ্রযান-৩-এর নেপথ্যে রয়েছে নারী ক্ষমতায়ন। এই মিশন লিড করছেন ভারতীয় মহিলা বিজ্ঞানী, ঋতু করিধাল। যাঁকে ভারতের ‘রকেট ওম্যান’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে সফল ল্যান্ডিংয়ের দায়িত্বে ঋতুর কাঁধে। ইসরো-র চন্দ্রযান-৩ মিশনের ডিরেক্টর ঋতু। এই ভারতীয় বিজ্ঞানী ঋতু করিধাল লখনউয়ে বাসিন্দা। চন্দ্রযান-২ -এর দায়িত্বেও ছিল ঋতুর উপরে। সেই মিশনে অসাধারণ দক্ষতা দেখার পরেই চন্দ্রযান-৩ মিশনের দায়িত্বও দেওয়া হয় তাঁকে।
শৈশব থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন ঋতু করিধাল। তাঁর প্রিয় বিষয় ছিল গণিত আর পদার্থবিদ্যা। লখনউয়ের নবযুগ কন্যা বিদ্যালয়ের পরে মহিলা পি জি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক হন। লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন। গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিটিউট টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং বা গেট -এ ভালো স্কোর করেন ঋতু। এর পর তিনি এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি জন্য সুযোগ পান বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সে। সেখান থেকে এম টেক করেন। এর পর ইসরোতে চাকরির আবেদন করেন। ১৯৯৭ সালে চাকরি পান। বেঙ্গালুরুতে পোস্টিং হয় তাঁর। ২০০৭ সালে ঋতু সেরা জুনিয়ার সায়েন্টিস্ট পুরস্কার পান। ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড, ইসরো টিম অ্যাওয়ার্ড, এএসআই টিম অ্যাওয়ার্ড, সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া এয়ারোস্পেস টেকনোলজি অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এয়ারোস্পেস উওম্যান অ্যাওয়ার্ড প্রভৃতি।
ঋতুর স্বামী অবিনাশ শ্রীবাস্তব চাকরি করেন একটি বেসরকারি সংস্থায়। মেয়ে অনীশা এবং ছেলে আদিত্যকে নিয়ে তাঁদের সংসার বেঙ্গালুরুতে।