পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘটে যাওয়া ধর্ষণের মামলায় বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই কমিটির মাথায় রয়েছেন দুঁদে আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেন। মাটিয়া-দেগঙ্গা-ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোনী ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করছেন তিনি। এবার আদালতে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করল রাজ্য। বুধবার তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দময়ন্তী সেনের তরফ থেকে তদন্তকারী আধিকারিকদের কী কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মাটিয়া-মালদহের ইংরেজবাজার-উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা-বাঁশদ্রোণী মিলিয়ে চারটি ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। গত ১২ এপ্রিল চারটি মামলারই একসঙ্গে শুনানি হয় কলকাতা উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে।
তাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা সব ঘটনার দিকে আলাদা করে নজর রাখছি। যদি কোনও ঘটনায় আলাদা করে কোনও আলাদা এজেন্সি বা কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের প্রয়োজন হয়, সেটা আমরা করব। এই ধরনের ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ। আগে দিল্লি বা দেশের অন্য জায়গা থেকে এই ধরনের অভিযোগ পাওয়া যেত।
শুনানির শেষে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম) দময়ন্তী সেনকে বিশেষ তদন্তকারী দলের দায়িত্বে বসান এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে বলে মামলাকারীদের আশ্বাস দেন। আদালত বলেছিল, তদন্তভার গ্রহণ করতে কোনও সমস্যা থাকলে দময়ন্তী সেন আদালতে জানাবেন। আদালতই বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিল।
এ দিন ছিল সেই ধর্ষণ মামলার শুনানি। এ দিন আদালতে বিশেষ তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দময়ন্তী সেন জানান ধর্ষণ সংক্রান্ত চারটি মামলার নজরদারিতে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২ মে। সেদিন তদন্তের পরবর্তী অগ্রগতির বিষয়ে রিপোর্ট পেশ করবে রাজ্য প্রশাসন।