অসলো, ১৪ অক্টোবর: ২০২৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকায়ো। ১১ অক্টোবর নরওয়ের রাজধানী অসলোর নোবেল ইনস্টিটিউট থেকে বিজয়ীর নাম ঘোষিত হয়। পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার উদ্যোগ ও প্রচারণার স্বীকৃতি হিসেবে সংগঠনটিকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে বলে জানায় নোবেল কমিটি। নিহন হিদানকায়ো একটি পরমাণু অস্ত্র-বিরোধী সংগঠন।
হিরোশিমা ও নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলায় যারা বেঁচে গেছেন, তাদেরকে নিয়ে পরমাণু-অস্ত্র বিরোধী আন্দোলন শুরু করে এই সংগঠনটি। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে এই দুই পরমাণু অস্ত্র হামলায় যারা বেঁচে যান বা কোনও ভাবে প্রভাবিত হন, তাদেরকে সামগ্রিকভাবে ‘হিবাকুশা’ বলা হয়।
মূলত হিবাকুশাদের নিয়েই কাজ করে এই সংগঠনটি। সংগঠনটির অপর অর্জন হিসেবে নোবেল কমিটি উল্লেখ করে, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে সংগঠনটি, যা থেকে মানুষ বুঝতে পেরেছে, এ ধরনের অস্ত্র আর কখনই ব্যবহার করা উচিত হবে না। ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ইরানের কারাবন্দি মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী।
নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট এ বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬ জন প্রার্থীর নাম নিবন্ধন করেছিল, যার মধ্যে ১৯৭ জন ব্যক্তি এবং ৮৯টি সংস্থা। ১৯০১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১১৪ বার শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়েছে।
১১১ ব্যক্তি ও ৩০ সংস্থা মিলে এই পুরস্কার বিজয়ীর সংখ্যা ১৪১। রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটি ১৯১৭, ১৯৪৪ ১৯৬৩ সালে ৩বার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার দফতর ১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে ২বার নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া ২৭ স্বতন্ত্র সংস্থা নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।