পুবের কলম প্রতিবেদক: বাঁশদ্রোনী শ্যুট আউট কাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করল পুলিশ। অন্যতম মূল অভিযুক্ত শম্ভু সর্দার ও তার দুই শাগরেদ গ্রেফতার হয়। ধৃতদের কাছ থেকে একটি সাত এমএম দেশি পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে প্রোমোটার মলয় দত্তর হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি চালায় তাঁর ঘনিষ্ঠ শম্ভু সর্দার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন রাউন্ড গুলি চলে। গুলি চলার সময় দুই প্রোমোটার মলয় দত্ত ও বিশ্বনাথ সিংহ ছাড়া ধৃত তিনজনও ঘটনাস্থলে হাজির ছিল। এর মধ্যে শম্ভু ছিল মলয় দত্তর পক্ষে। বাকি দুজন অরিজিৎ পোদ্দার ওরফে সানি ও শেখ শাহিদ ওরফে ভিকি ছিল বাচ্চা সিংহের লোক। মূলত জমি দখলকে কেন্দ্র করেই দুই প্রোমোটারের মধ্যে বিবাদ, তার জেরেই গুলি-পাল্টা গুলি চলে বলে পুলিশের অনুমান। বাঁশদ্রোনীকাণ্ডে তদন্তে নেমে মলয়-ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জনকে পুলিশ অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার করেছে।
বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত মলয় দত্ত৷ অস্ত্রোপচারের পর তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই খবর৷ অন্যদিকে বিশ্বনাথ সিং ওরফে বাচ্চা গড়িয়ার কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি৷ তাঁর পিঠে লাগা গুলি শিরদাঁড়ার কাছে আটকে ছিল৷ অস্ত্রোপচার করে সেই গুলি বের করেছেন চিকিৎসকরা৷ ৭২ ঘণ্টা তাঁকে চিকিৎসকরা পর্যবেক্ষণে রাখবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ সিং-এর পরিবারের সদস্যরা৷ উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বাঁশদ্রোনী কান্ডে ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।