ইনামুল হক, বসিরহাট:পাঁচ সীমান্তের গ্রামের জলবন্দী মানুষের প্রতিবাদ বিক্ষোভ বাধ্য হয়ে ৭০,লক্ষ টাকা ব্যয় ইছামতি নদী সংস্কার শুরু করল সেচ দফতর।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর ব্লক ও বাদুরিয়ার একাংশের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ এখনো জলবন্দী হয়ে রয়েছে। এক দিকে মাছ চাষ অন্যদিকে চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এখনো নোনা জল বেশ কয়েকটি গ্রামে। বাধ্য হয়ে রবিবার গ্রামের মানুষ কোদাল নিয়ে যমুনা নদীর খাল কেটে দিয়েছিল। যাতে জল নিকাশ হয়ে ইছামতি নদীতে পড়ে। এবার নদী সংস্কারের জন্য সকাল থেকে ডেজার দিয়ে নদীর ভূগর্ভস্থ থেকে বালি মাটি তোলার কাজ শুরু করলো সেচ দফতর।
এইসব অঞ্চলের মানুষের অভিযোগ ইছামতি নদীর সংস্কার হয় না বেশ কয়েক বছর ধরে। যার কারণে একটু বৃষ্টি হলে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়ে গ্রামে। বেহাল নিকাশি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছিল বাসিন্দারা। সীমান্তের কয়েক হাজার মানুষের দাবি ছিল ইছামতি নদীর সংস্কারের। ক্রমে নাব্যতা হারাচ্ছে ইছামতি। একটু বৃষ্টি হলে জলস্থল বেড়ে গিয়ে গ্রামকে গ্রাম প্লাবিত করে দেয়।
পাশাপাশি চাষের জমি থেকে মাছ চাষের জমি নোনা জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্ষাকালে সবজি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির জন্য যোগান কমেছে। দাম আকাশছোঁয়া। দৈনন্দিন জীবনের রুজি রোজার থেকে বঞ্চিত হয় এই সব এলাকার মানুষেরা। তাই অবশেষে মানুষের দামি মেনে ইছামতি সংস্কারের কাজ শুরু করল সেচ দপ্তর।
আগামী এক মাসের মধ্যে ইছামতি নদীর সংস্কারের কাজ শেষ হবে প্রথম পর্যায়ে সত্তর লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। খবর শুনে খুশি সীমান্তের মানুষ।