কলকাতাFriday, 18 October 2024
  1. আজকের শিরোনাম
  2. ইতিহাস-ঐতিহ্য
  3. ক্রাইম
  4. খেলা
  5. জেলা
  6. দেশ
  7. ধর্ম ও দর্শন
  8. পর্যটন
  9. ফোটো গ্যালারি
  10. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  11. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  12. বিনোদন
  13. বিশ্ব-জাহান
  14. ব্লগ
  15. ভ্রমণ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

হেফাজতে ৮৯ বন্দী মৃত্যুতে সাড়ে ৪ কোটি ক্ষতিপূরণের সুপারিশ মানবধিকার কমিশনের

asim kumar
October 18, 2024 6:58 pm
Link Copied!

নয়াদিল্লি, ১৮ অক্টোবর: বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ৮৯ জন বন্দীর মৃত্যুতে সাড়ে চার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করল জাতীয় মানবধিকার কমিশন। এই বন্দী মৃত্যুর মামলাগুলি ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অধিকার প্যানেল দ্বারা নিষ্পত্তি করা হয়েছিল।

 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, অধিকার প্যানেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল বিচারাধীন এবং কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের মৃত্যুর মামলা। চলতি বছরের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই মামলাগুলি নিষ্পত্তির সময় ছিল। কমিশনের নির্দেশে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে সাড়ে চার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে ধর্ষণ,অপহরণ, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু সহ অধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন মামলা ছিল।

 

চলতি আর্থিক বছরে, সর্বাধিক ৩২টি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে মৃত্যুর মামলা মানবধিকার কমিশন নিষ্পত্তি করেছিল মে মাসে। আর ২৫ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছিল এপ্রিল মাসে। এছাড়াও বাড়তি ১৮৬টি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এপ্রিল থেকে, অধিকার প্যানেল ১৪১টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে যার মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার ৮৯টি বিষয়ে ত্রুটির জন্য দোষী প্রমাণিত হয়েছে।

 

পুলিশ হেফাজতে এবং পুলিশ এনকাউন্টারে মৃত্যু এই দুটি বড় অভিযোগের মধ্যে যথাক্রমে ২৬৫ ও ২০১টি মামলা মুলতুবি রয়েছে। কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। গত এক দশকে বিচারাধীন বন্দীর মৃত্যুর সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি।

 

কমিশন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে বন্দী মৃত্যু বন্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও সেটি কার্যকর করার জন্য সুপারিশ করেছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণের সুপারিশ ছাড়াও অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সহ বিচার বিভাগীয় পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছে।

Read more: বিশ্বব্যাংকের রিপোর্টঃ ভারতে চরম দারিদ্রসীমার নীচে ১২৯ মিলিয়ন মানুষ

জাতীয় মানবধিকারের নির্দেশিকা অনুসারে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারদের অবশ্যই হেফাজতে মৃত্যুর যে কোনও ঘটনা ঘটার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনের কাছে রিপোর্ট দিতে হবে। যদি এটি না করা হয়, তবে ধরে নেওয়া হবে ঘটনাটি গোপন করা হয়েছে। কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেওয়া সহ, হেফাজতে সহিংসতার শিকার ব্যক্তিরা যাতে সুষ্ঠু আইনি সাহায্য পায় সেটি দেখতে হবে।