পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ব্রিকসের ১৬তম সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে রাশিয়া যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর কাজান শহরে ব্রিকসের ষোড়শ শীর্ষ সম্মেলন হবে। এই নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বার রাশিয়া সফর করতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর আগে গত জুলাই মাসে মস্কো সফরে গিয়েছিলেন মোদি।
এবারের সম্মেলনে গোটা বিশ্বের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলতে পারে ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি।
বাণিজ্য এবং উন্নয়নের পাশাপাশি ইউক্রেন ও পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতিও ব্রিকসে এ বার আলোচনায় হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি মোদি, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইথিওপিয়ার মতো দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী ২৩ অক্টোবরই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে মোদির।
সেটি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। এবারের সম্মেলনে যোগ দেবেন চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। এমনটাই জানিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিন এবং রাশিয়ার উদ্দেশ্য হল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে তাদের হাতে। অর্থাৎ, পুরনো ব্লক রাজনীতির ধাঁচে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অক্ষ তৈরি করা।
ব্রিকসভুক্ত অধিকাংশ দেশই পশ্চিম-বিরোধী জোটশক্তির অংশ বলে মনে করে কূটনৈতিক মহল। চিন, রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা রাষ্ট্রপুঞ্জে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল। ভারত ভোটদানে বিরত ছিল। গত নভেম্বরে গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিকসের ভার্চুয়াল শীর্ষবৈঠকে যোগ দেননি মোদি। পরিবর্তে সেখানে নয়াদিল্লির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
গেরুয়া শিবির বহুবার ইসরাইলের প্রতি তাদের নরম মনোভাব প্রকাশ করেছে। গনহত্যাকারী ইসরাইলকে সমর্থন করে তারা । পশ্চিমের কিছু দেশকে বাদ দিলে, গাজার উপর ইসরাইলের আক্রমণ বিশ্বের কোথাও সমর্থন পায়নি।