সেখ কুতুবউদ্দিনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এমাদ্রাসার পড়ুয়াদের পোক্ত করতে চাইছে সংখ্যালঘু দফতর। ইতিমধ্যে রাজ্যের ৬টি মাদ্রাসায় এআই কোর্স চালু হয়েছে। এই মাদ্রাসাগুলির ল্যাব গড়তে ১২ লক্ষ টাকা করে দিচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। রাজ্যে ২৮০টি উচ্চমাধ্যমিক মাদ্রাসার মধ্যে বিজ্ঞান মাদ্রাসা রয়েছে ৭৯টিতে। রাজ্যের সমস্ত বিজ্ঞান মাদ্রাসায় এআই কোর্স চালু করার জন্য ইতিপূর্বে প্রধানশিক্ষকদের নিয়ে ওয়ার্কশপও করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। আগামীতে আগ্রহী বিজ্ঞান মাদ্রাসাগুলি এআই কোর্স চালু করতে পারবে। এই কোর্সের অনুমোদনের জন্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে আবেদন করতে হবে মাদ্রাসাগুলিতে। এই ৬টি ছাড়া অনেক বিজ্ঞান মাদ্রাসা ইতিমধ্যে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে আবেদন শুরু করেছে।
মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, মাদ্রাসাগুলিতে এআই কোর্স থাকবে ইলেকটিভ সাবজেক্ট হিসেবে। আগ্রহী পড়ুয়ারা এই কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করতে পারে।
এই বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ থেকে জানা গিয়েছে, স্কুল ও মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষরা এআই কোর্স চালু করার জন্য আবেদন শুরু করেছে। এই কোর্স চালুর জন্য মাদ্রাসার পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটানো প্রয়োজন।
এআই কোর্স চালু নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন শনিবার ‘পুবের কলম’কে বলেন, যে মাদ্রাসাগুলিতে এআই কোর্স চালু রয়েছে। ল্যাব-সহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হবে। এই নিয়ে দরপত্রও করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত এই মাদ্রাসাগুলির ল্যাব প্রস্তুত হবে। আরও মাদ্রাসায় এআই কোর্স চালু করতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে আবেদন করছে।
এই কোর্স চালু প্রসঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, এআই নিয়ে পঠন-পাঠনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ, আগামীতে এআইয়ের কার্যকারিতা আরও বাড়বে। এতে পড়ুয়াদের সুবিধা হবে।
উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতেও ধাপে ধাপে চালু হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই), ডেটা সায়েন্স এবং রোবোটিক্স নিয়ে পড়াশোনা। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অধীনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এই সব বিষয়ের পঠন-পাঠনের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বদল আনা হবে ল্যাবরেটরিতে। ইতিমধ্যে ‘মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া ও হুগলির বেশ কিছু হাই-মাদ্রাসায় এআই এবং ডেটা সায়েন্সের মতো আধুনিক দুটি বিষয় চালু হয়েছে। এই সব মাদ্রাসার ল্যাবরেটরিগুলি নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে যেসব ছাত্রছাত্রী সংশ্লিষ্ট হাই-মাদ্রাসায় ভর্তি হবে, তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা সায়েন্সের মধ্যে যেকোনও একটি বিষয় নির্বাচন করতে পারবে। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, যেসব মাদ্রাসা বাছাই করা হয়েছে, সেগুলিতে ইতিমধ্যেই কম্পিউটার বিষয়ে পড়ানো হয়। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকও রয়েছেন সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
প্রসঙ্গত, উচ্চমাধ্যমিকের পাঠক্রমে আগেই বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা সায়েন্স। গতবছর বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য তা চালু হয়েছিল। কিন্তু এ বছর থেকে বিজ্ঞানের পাশাপাশি আর্টস এবং কমার্সের পড়ুয়াদের জন্যও আধুনিক প্রযুক্তির ওই দুই বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে।
1 Comment
Pingback: নেতাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার ইসরাইলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান হামাসের