পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিজেপি ও বাংলার শাসকদলের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। একদিকে বিজেপি নানাভাবে কটাক্ষ করছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পালটা মুখ্যমন্ত্রীও প্রায় প্রত্যেক সভা থেকে বিজেপিকে দেশ থেকে হটানোর ডাক দেন। আর এই প্রসঙ্গে সব দলকে একজোট হওয়ার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফোন করে খোঁজখবর নেন। যে কোনও প্রয়োজনেই তাঁকে ফোন করতে বলেন। এদিকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে আমি খুশি হয়েছি। তবে মুখ্যমন্ত্রী এই সৌজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দেখালে আরও খুশি হতাম।
এদিকে এর কিছুদিন পর থেকেই রাজ্য ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের মধ্যে বিরোধ ক্রমশ প্রকট হতে থাকে। একদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যপাল আমাকে বিরক্ত করেন। সব ফাইলগুলি আটকে ফেলে রেখেছে। ওঁনাকে আমি আমার ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিয়েছি।
এদিকে আজও তৃণমূলের সাংগঠিক নির্বাচনী সভা থেকে বিজেপিকে একযোগে বিজেপি হটাও’য়ের ডাক দিয়ে মমতা বলেন, যদি কেউ না পাশে দাঁড়ায়, তাহলে আমি একলা চলব। আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শে বিশ্বাসী। তাই ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তাহলে একলা চলো রে’। কারণ তৃণমূলের অপর নামই হল সংগ্রাম আর লড়াই।
এবার এই অবস্থার মধ্যে ফের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জাতীয় ‘সংগীত অবমাননার’ অভিযোগ উঠল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জাতীয় সংগীত অবমাননার অভিযোগ তুলে সমন জারি করল মুম্বইয়ের মাঝগাঁওয়ের নগর দায়রা আদালত। অভিযোগ, ১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে জাভেদ আখতারের আয়োজনে বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত ‘অবমাননা’র অভিযোগ ওঠে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ মার্চ।
১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে বিশিষ্ট কাহিনিকার ও কবি জাভেদ আখতারের ব্যবস্থাপনায় একটি অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। সেই অনুষ্ঠানেই তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত ‘অবমাননা’র অভিযোগ ওঠে। আদালতে মামলা করার আবেদন জানান মুম্বইয়ে বিজেপি-র সম্পাদক। অভিযোগ ছিল, ১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠান চলাকালীন মমতা প্রথমে বসে, তার পর উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে থাকেন। এবং বিরোধীদের দাবি, পুরো জাতীয় সংগীত না গেয়েই হঠাৎ জাতীয় সংগীত থামিয়ে দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এতে আপত্তি জানিয়ে জাতীয় সংগীতের ‘অবমাননা’র অভিযোগ করেন মুম্বই বিজেপি-র সম্পাদক। তাঁর অভিযোগ, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর পরই নগর দায়রা আদালতে মামলা করেন তিনি।