পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ SSC -গ্রুপ ডি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় চাপান-উতোর অব্যাহত। SSC বেতন বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি, বেতন বন্ধ হওয়া ২৫ জনের তিনজন। তাদের বক্তব্য, অভিযোগ না শুনেই বেতন বন্ধ করা হয়েছে। বেতন বন্ধের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের অনুমতি।
স্কুলে গ্রুপ ডি পদে নিযুক্ত হওয়া আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালত অবশ্য জানিয়েছে– সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে ডিআইদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর আগে আরও ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ভুয়ো নিয়োগের নথি খতিয়ে দেখে বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিক এসএসসি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৪ মে’র পর নিয়োগ করা হয়েছে কি না এবং তাঁরা এখন কাজ করছে কি না– তা খতিয়ে দেখে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ কার্যকর করতে বলেছেন বিচারপতি। আদালত বলেছে– ওই তারিখে পর সুপারিশ হয়ে থাকলে এবং নিয়োগ হলে তবেই বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তদন্তে ভুয়ো নিয়োগের প্রমাণ মিললে তবেই সংশ্লিষ্ট ডিআইদের বেতন বন্ধ করতে নির্দেশ দেবে এসএসসি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ৫৪২ জনের মধ্যে কারা চাকরি পেয়েছেন এবং বেতন পাচ্ছেন– এটা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে একই ভাবে ২৫ জনের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা চলছে। আদালত আরও জানিয়েছে, তদন্তে ভুয়ো নিয়োগের সপক্ষে প্রমাণ মিললে বেতন বন্ধ হবে ওই কর্মীদের।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে গ্রুপ ডি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশন। এর পর ১৩ হাজার গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও একাধিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কীভাবে নিয়োগ হল– এই নিয়ে এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কৈফিয়ৎ চায় হাইকোর্ট। হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। বুধবার সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ হয় এসএসসি। এর পর তিন সপ্তাহের জন্য আদালত সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।