নিজস্ব প্রতিনিধি: বিদ্রোহের ফল ফের পেলেন বঙ্গ বিজেপির বাগী নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সায়ন্তন বসু। সোমবার রাতে দলের কর্মসমিতির সদস্যদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেও ঠাঁই হয়নি তাঁর। জায়গা পাননি আর এক নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। যদিও দলের অন্দরে মাথাচাড়া দেওয়া অসন্তোষ ধামাচাপা দিতে রাজ্য কমিটির পদাধিকারীর দায়িত্ব হারানো বেশ কয়েকজনকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব সামলানো সায়ন্তনকে কর্মসমিতিতেও ঠাঁই না দেওয়ার বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখিয়া সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, ‘কেন্দ্রীয়স্তরে কিংবা অন্য কোনও জায়গায় কাজে লাগানো হতে পারে।’
রাজ্য কমিটির পদাধিকারী ও জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণার পরেই কার্যত বঙ্গের পদ্ম শিবিরে অশান্তি দাবানলের আকার নিয়েছিল। সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, আলি হোসেনের মতো দলের দীর্ঘদিনের নেতাদের ডানা ছেঁটে দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর তার পরেই শুরু হয়েছিল বিদ্রোহ। সেই বিদ্রোহের জেরে দল থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছিল বিদ্রোহী শিবিরের দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে। দল থেকে বহিষ্কারের পরেই অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সহ-সভাপতি।
গত সপ্তাহেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করে দলের বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের দল চালানো নিয়ে নালিশ ঠুকেছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যেভাবে দলের পুরনো নেতাদের উপেক্ষা করে আনকোরা, দলে সদ্য আসাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। সেই নালিশের কয়েকদিন বাদেই রাজ্য বিজেপির নতুন কর্মসমিতির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
১০৮ সদস্য বিশিষ্ট সমিতিতে তৃণমূল ছেড়ে আসা শঙ্কুদেব পন্ডা, দশরথ তিরকে, দুলাল বর, রথীন চক্রবর্তীদের পাশাপাশি ঠাঁই পেয়েছেন বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, রাজকমল পাঠকের মতো পুরনো নেতারা। দলের সব সাংসদ ও বিধায়ককে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।
রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার পরে কর্মসমিতিতে ঠাঁই না পাওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি সায়ন্তন বসু। তবে সূত্রের খবর, যেভাবে তাঁকে পরোক্ষে দলের বাইরে যাওয়ার রাস্তা দেখানো হয়েছে, তাতে নিজের অনুগামীদের সঙ্গে আলোচনার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।’