পুবের কলম প্রতিবেদক: রামপুরহাট কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে বলে মঙ্গলবার বিধানসভায় বিবৃতি দিতে গিয়ে এমনটাই দাবি করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক দোষীরা কঠোর শাস্তি পাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার বিধানসভায় বিবৃতি দেওয়ার সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার। বগটুই এবং তার পাশাপাশি এলাকা যেখানে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেইসব জায়গায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। এই ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। বগটুই গ্রামে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিট গঠন করা হয়েছে।’
অন্যদিকে বিধানসভায় কক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পথ বিঘ্নিত করার জন্য রাজনৈতিক চেষ্টা চলছে। এই ঘটনাও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, রাজ্য সরকারকে অস্থিতিশীল করে দেওয়ার জন্য।’
এদিকে এই ঘটনার পর রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই প্রসঙ্গে সুকান্তকে নিশানা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তাঁরা চাইতেই পারেন। এটা তো ২০২১ থেকেই শুনে আসছি। রাষ্ট্রপতি শাসন চাই। এইবার ২০০ পার। রাজ্যের মানুষ যে তাঁদের গঙ্গা পার করে দিয়েছে সেই অনুভূতি ও শিক্ষাটুকুও তাঁদের নেই। বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পরাজিত হয়েও তাঁদের শিক্ষা হয়নি।’
উল্লেখ্য, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। সোমবার রাতে রামপুরহাটের বকটুই গ্রামে খুন হন তৃণমূলের স্থানীয় উপপ্রধান ভাদু শেখ। এই ঘটনার পর পরই বকটুই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে পাল্টা আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা যার জেরে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। পরে দমকলের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ১০টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।