বেঙ্গালুরু: কর্নাটক পুলিশ রাইফেল প্রশিক্ষণ পরিচালনার অভিযোগে ১২ জন শ্রীরাম সেনার (এসআরএস) কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তোদলবাগী গ্রামের মাঠে সপ্তাহব্যাপী ব্যক্তিত্ব বিকাশ কর্মসূচির নামে শ্রীরাম সেনার বকলমে এসআরএস কর্মীরা রাইফেল প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে। প্রায় ১৯৬ জন যুবক রাইফেল প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আইনজীবীদের অভিযোগ যে এই ধরনের প্রশিক্ষণ প্রবীণ সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ, পণ্ডিত এম এম কালবুর্গীর হত্যা-সহ মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাধ্যমে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করছে।
একটি আইনজীবী ফোরাম এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছিল। জানা গেছে, শ্রীরাম সেনা একটি ডানপন্থী উগ্র সংগঠন, বাগলকোট জেলায় পরিচালিত। এরা আরএসএস-এর অনুগামী। কর্নাটকের ডিজিপির কাছে অল ইন্ডিয়া লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর জাস্টিস অভিযোগ জানায় যে, বাগালকোটের সাভালাগি থানার সীমানার অধীনে টোডালবাগী গ্রামে ১৮৬ জন অংশগ্রহণকারী অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছে। শ্রীরামসেনার (এসআরএস-এর) ছয়দিনের অগ্নি অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার মিডিয়া রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে আইনি পদক্ষেপের দাবি করেছিল তারা।
Read More: হিংসার পরিবেশে প্রেমের কথা বলে যাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার ডা. আলম
ওই আইনজীবী সংগঠনের রাজ্য কমিটির তরফে চিঠিতে অবনী চোক্সি বলেছেন, ‘এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবির অতীতে দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলি দ্বারা অনুষ্ঠিত হয়েছে যেগুলি মোবাইল লিঞ্চিং, নৈতিক পুলিশিং এবং ভীতি প্রদর্শন এবং সিনিয়র সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ হত্যা-সহ সংখ্যালঘু, দলিত এবং প্রগতিশীল চিন্তাবিদদের বিরুদ্ধে সহিংসতার মাধ্যমে শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলি বলেছে, হিন্দুত্বকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে স্পষ্টতই দলিত, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের লক্ষ্য করে শ্রীরাম সেনা প্রচার করে যাচ্ছে। আইনজীবী সংগঠনটি শ্রীরাম সেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৪-এর ধারা ৬১ এবং ১৮৯ এর অধীনে অংশগ্রহণকারী এবং সংগঠক উভয়ের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করার জন্য পুলিশের কাছে দাবি করেছে।