০১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্মার্ট ফোনের আব্দার পূরণ না হওয়ার অভিমানে আত্মঘাতী কৃষকের ছেলে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ জানুয়ারী ২০২৫, শনিবার
  • / 31

   HIGHLIGHTS: ছেলের মৃত্যুশোকে একই রশিতে                               ঝুলে পড়েন বাবাও

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:    স্মার্ট ফোনের আব্দার পূরণ না হওয়ার অভিমানে আত্মঘাতী কৃষকের পুত্র। শোক সহ্য করতে  না পেরে একই রশিতে ঝুলে পড়লেন খোদ বাবা’ও। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নান্দেদে।  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি স্মার্ট ফোনের আব্দার করছিল ওই নাবালক। যা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন কৃষক বাবাও।

 

এদিন ক্ষোভ-অভিমান বুকে জমিয়ে আত্মহত্যার মতো চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করে ওই নাবালক।  বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের একটি খামারে ওই নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ছেলের এহেন করুণ পরিণতি দেখে একই রশিতে ঝুলে পড়েন বাবাও।

পরিবার সূত্রে খবর, ওই কৃষককের তিনটি সন্তান রয়েছে। মৃত নাবালকটি সব থেকে ছোট।  হোস্টলে থেকে পড়াশোনা করতো সে। মকর সংক্রান্তির জন্য কিছুদিন আগেই হোস্টেল থেকে বাড়িতে  এসেছিল সে। একাডেমিক উদ্দেশ্যে স্মার্টফোন কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল বাবাকে। তবে আর্থিক অনটনের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

 

বলা বাহুল্য, নির্বাচনী বৈত্যরণী পার করতে ২০১৪ সালেই সালে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’-এর স্লোগান তুলেছিলেন মোদি।  সমস্ত শ্রেণি, সম্প্রদায়কে এক সুতোয় বাঁধার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। লাভও পেয়েছিলেন ভোটবাক্সে। তবে ওয়াকিফহাল মহলের মতে, ‘রাত গ্যায়ি বাত গ্যায়ির’ মতো অবস্থা হয়ে গেছে এখন। ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ স্লোগান এখন মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি করছে। আর সঙ্গে সাধারণ মানুষও। সামান্য স্মার্টফোনের জন্য একটি পড়ুয়ার এহেন পরিণতি অগ্রহণযোগ্য।

 

 

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

স্মার্ট ফোনের আব্দার পূরণ না হওয়ার অভিমানে আত্মঘাতী কৃষকের ছেলে

আপডেট : ১১ জানুয়ারী ২০২৫, শনিবার

   HIGHLIGHTS: ছেলের মৃত্যুশোকে একই রশিতে                               ঝুলে পড়েন বাবাও

 

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:    স্মার্ট ফোনের আব্দার পূরণ না হওয়ার অভিমানে আত্মঘাতী কৃষকের পুত্র। শোক সহ্য করতে  না পেরে একই রশিতে ঝুলে পড়লেন খোদ বাবা’ও। হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নান্দেদে।  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি স্মার্ট ফোনের আব্দার করছিল ওই নাবালক। যা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন কৃষক বাবাও।

 

এদিন ক্ষোভ-অভিমান বুকে জমিয়ে আত্মহত্যার মতো চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করে ওই নাবালক।  বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের একটি খামারে ওই নাবালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ছেলের এহেন করুণ পরিণতি দেখে একই রশিতে ঝুলে পড়েন বাবাও।

পরিবার সূত্রে খবর, ওই কৃষককের তিনটি সন্তান রয়েছে। মৃত নাবালকটি সব থেকে ছোট।  হোস্টলে থেকে পড়াশোনা করতো সে। মকর সংক্রান্তির জন্য কিছুদিন আগেই হোস্টেল থেকে বাড়িতে  এসেছিল সে। একাডেমিক উদ্দেশ্যে স্মার্টফোন কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল বাবাকে। তবে আর্থিক অনটনের কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

 

বলা বাহুল্য, নির্বাচনী বৈত্যরণী পার করতে ২০১৪ সালেই সালে ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’-এর স্লোগান তুলেছিলেন মোদি।  সমস্ত শ্রেণি, সম্প্রদায়কে এক সুতোয় বাঁধার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। লাভও পেয়েছিলেন ভোটবাক্সে। তবে ওয়াকিফহাল মহলের মতে, ‘রাত গ্যায়ি বাত গ্যায়ির’ মতো অবস্থা হয়ে গেছে এখন। ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ স্লোগান এখন মাটিতে পড়ে গড়াগড়ি করছে। আর সঙ্গে সাধারণ মানুষও। সামান্য স্মার্টফোনের জন্য একটি পড়ুয়ার এহেন পরিণতি অগ্রহণযোগ্য।