পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: বুধবার হাড়োয়া বিধানসভার ২৭৯ বুথে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। কয়েকটা বুথ ছাড়া শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে হাড়োয়ায় এমনটাই দাবি বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলামের। তিনি জানান বারাসাত ২ ব্লকে বেশ কয়েকটি বুথে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে।
দাদপুর পঞ্চায়েতের ৩৭টি বুথে পুনর্নির্বাচন চাইছি। নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছি। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশকেও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত আমাদের একজন আইএসএফ কর্মী নিখোঁজ আছে। বহু জায়গায় আমি নিজে গিয়ে এজেন্ট বসিয়েছি। অনেক জায়গায় আমাদের এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাধা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে হাড়োয়া উপনির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়েছে কিন্তু ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস। তার দাবি মানুষ ভোট দিয়েছে। পাশাপাশি ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তার।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি বুথে গন্ডগোল হয়েছে বলে জানান তিনি। ১৩ তারিখ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত ইভিএম সুরক্ষিত থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি । পাশাপাশি জানান নির্বাচন কমিশনকে বলবো মানুষ ভোট দিয়েছে যথাযথ। তবে সুরক্ষিত থাকুক ইভিএম গুলো।হাড়োয়া পি জি হাই স্কুল ভিসিআরসি ঘিরে কড়া নিরাপত্তা কেন্দ্র বাহিনীর। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হাড়োয়ায় প্রদত্ত ভোটের হার ৭২.৯৫ শতাংশ। এদিকে বহিরাগত তকমা মুছে ফেলে হাড়োয়া বিধানসভার ভোটার হয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোট দিলেন হাড়োয়ার পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা।
হাড়োয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে বসিরহাটের সাংসদ তথা হাড়োয়া বিধানসভা প্রাক্তন বিধায়ক হাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার ছেলে রবিউল ইসলাম এই কেন্দ্র থেকে টিকিট পেলেও টিকিট পাওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়েছিলেন আব্দুল খালেক মোল্লা। হাড়োয়া কেন্দ্রে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই হাড়োয়া বিধানসভা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকবৃন্দ নাম করে ‘ভূমিপুত্রকেই প্রার্থী হিসেবে চাই’ এই পোস্টার পড়েছিল।
তারপর যথেষ্ট শোরগোল শুরু হয়েছিল গোটা হাড়োয়া বিধানসভা জুড়ে। পাশাপাশি চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ রাতে একদল দুষ্কৃতির হাতে আক্রান্ত হন মিনাখাঁর বিধায়িকা ঊষা রানী মন্ডল। তিনি সরাসরি আব্দুল খালেক মোল্লাকে বহিরাগত তকমা দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তোলেন। কিন্তু বুধবার ভোটের প্রায় অন্তিম লগ্নে দুপুর তিনটে নাগাদ সকলকে চমকে দিয়ে হাড়োয়া বিধানসভার ২১৪ নম্বর বুথ হাড়োয়া শফিক আহমেদ গার্লস হাই স্কুলে ভোট দিতে আসেন আব্দুল খালেক মোল্লা। যা দেখে স্বভাবতই হতচকিত হন হাড়োয়ার সাধারণ মানুষ।
এমনকি দলের নেতা-কর্মীরাও। বিষয়টি নিয়ে হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের হাড়োয়া ব্লক ২ এর যুব সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা বলেন, লোকসভার পরপরই আমি হাড়োয়া বিধানসভার ভোটার হই। হাড়োয়া বিধানসভা প্রসঙ্গে যারা আমাকে বহিরাগত বলছিল তারা আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছিল।
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আজ আমি হাড়োয়া বিধানসভা থেকে ভোট দিলাম। আমি হাড়োয়া বিধানসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলামকেই ভোট দিলাম। কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই আমাকে বহিরাগত তকমা দিয়ে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল।