পুবের কলম প্রতিবেদক: বিধাননগরে পুরভোট। ৪১টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের হবে ভাগ্য নির্ণয়। এখন সব ফোকাস বুথের দিকে। আর সেই বুথ রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ বিধাননগর কমিশনারেট পুলিশের। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে ভোট করতে শুক্রবার বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তকে ফোন করে পরামর্শ দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে বিধাননগরের প্রবেশ পথ সহ ২২ টি নাকা পয়েন্টে ২৫০ অভিযানে নেমেছে। বহিরাগত প্রবেশের আঁচ পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারি বাড়ান বিধাননগরের সীমান্তবর্তী এলাকা ভাঙ্গড় হাড়োয়া এবং বেলেঘাটা এলাকার দিকে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালের বিধাননগর পুর নির্বাচনে উত্তপ্ত হয়েছিল বিধাননগর ও রাজারহাটের একাংশ। নির্বাচনের দিন কয়েকটা জায়াগায় বোমাও পড়েছিল। সল্টলেকের এডি এফডি বিজে বিকে এইচ বি ব্লকেই ভিড় জমায় বহিরাগতরা।
দশদ্রোন, চিনারপার্ক, কালীপার্ক, নারায়নপুর এলাকাতেই কিছু বুথ জ্যামের ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছিল। ভোট প্রভাহিত করার অভিযোগের সেই খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছিল সাংবাদিকদেরও। দিনের শেষে শাসকদলের ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছিল। গোটা ঘটনার জন্য কাঠগড়ায় উঠেছিল বিধাননগর কমিশনারেট। সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য তৎপর বিধাননগর কমিশনারেটের কর্তারা।
বিধাননগরের ৪১ টি আসনের ৫২৩ বুথের ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে মহিলা মিলিয়ে ২৩০০ উপর পুলিশ মোতায়েন থাকছে। ইন্সপেক্টর পুলিশের সংখ্যা ৩২। থাকবে ৪০০ জন এসআই ও এএসআই পর্যায়ের আধিকারিকরা। কনস্টেবল মর্যাদার পুলিশ মোতায়েন থাকবে ১৯০০।
কমিশনার পুলিশ সূত্রে খবর, ৪৮ টি খোলা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকের ১১টি দল। টলদারিতে রাখা হবে ১৮ টি কুইক রেসপন্স টিম। অশান্তির পরিস্থিতি বুঝে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে ওই বাহিনী। আরটি মোবাইলের সংখ্যা ৩০। ভোটারদের অভিযোগ জানাতে ১০০ সঙ্গে অতিরিক্ত ভাবে ৯৮৩০৬১১১১৪ ডায়ালের একটি নম্বর চালু করেছে কমিশনারেট পুলিশ। সব মিলিয়ে বিধাননগরে অবাধে ভোট করতে প্রস্তুত কমিশনারেট পুলিশ।