পুবের কলম প্রতিবেদক: করোনার সম্ভাব্য স্ট্রেন ‘ওমিক্রন’ নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে পদক্ষেপের জন্য বলা হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে সতর্কতা হিসাবে দু’টি হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এবার কোনও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ‘ওমিক্রন’-এর উপস্থিতি দেখা দিলেই তাদের অন্যত্র চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। রাজ্যের তরফে ঠিক করা হয়েছে– ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে বেলেঘাটা আইডি ও এম আর বাঙুর হাসপাতালে।
প্রসঙ্গত– করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টকে নিয়ন্ত্রণ করতে নানান পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে সরকার। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ– পরিবহণ ও স্বাস্থ্য বিভাগ একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে। সব সময় সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। করোনা ঠেকাতে ঠিক হয়েছে– এবার থেকে যাঁরাই বিদেশ থেকে আসবেন– তাঁদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষার পর কারও করোনা পজিটিভ হলেই তাকে নিয়ে যাওয়া হবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। শুধু তাই নয়– এর জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালকেও বাছাই করা হয়েছে। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির সেই ব্যক্তির লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কল্যাণীর জিনোম সিকুয়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে।
জিনোম পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেলেই রোগীকে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হবে। সবটাই হবে বেলেঘাটা আইডি ও এম আর বাঙুর হাসপাতালে।
রাজ্যের তরফে বলা হয়েছে– পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত কারও শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি। তবে– আগাম প্রস্তুতি হিসাবেই বেলেঘাটা আইডি এবং এম আর বাঙুর হাসপাতালে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টযুক্ত রোগীদের সম্পূর্ণ পৃথক ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হবে। দু’টি হাসপাতাল মিলিয়ে আপাতত ১০০টি শয্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে– ডেল্ডা বা ডেল্টা-প্লাস ভ্যারিয়েন্ট সংক্রামিতদের ওয়ার্ডেই ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে।