পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ দিল্লির বায়ু দূষণ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। বাজি পোড়ানো বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ বিষয়ে ঢিলেমির জেরে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট। আদালত জানায়, কোনও ধর্ম দূষণের পক্ষে নয়। দিল্লি পুলিশকে আগের দিনের শুনানির মতোই দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ মসিহ্-র বেঞ্চ বলে, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও দিল্লিতে দেদার বাজি বিক্রি ও পোড়ানো চলছে। দিওয়ালি চলে গেলেও তার বিরাম নেই। অথচ কোনও ধর্মই দূষণকে প্রশ্রয় দেয় না। আদালতের বিচারে যা দূষণ তৈরি করে, এমন কিছুকে কোনও ধর্ম মদত দেয় না। যদি এভাবে পটকা ফাটতে থাকে, তাহলে তা নাগরিকদের স্বাস্থ্যের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করবে। তাই এ ব্যাপারে আদালত দিল্লি পুলিশকে পাকাপাকিভাবে বাজি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বলে। আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে দিল্লি পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলে, নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কেন দিল্লিতে দেদার বাজি পুড়ল? সরকার ও পুলিশ কী করছিল? কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না? এ ব্যাপারে দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার ও পুলিশ কমিশনারের কাছে জরুরি জবাবদিহি তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য সেদিন ব্যাপক ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। আদালত সকলকে সাবধান করে দিয়ে বলেছে, অন্ততপক্ষে পরের বছরের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করুন।
সর্বোচ্চ আদালত দেওয়ালি উপলক্ষে বাজি নিষিদ্ধ নির্দেশকে উপেক্ষা করার দ্রুত জবাব দিতে বলেছে। বাজি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা কেবলমাত্র খাতায়কলমেই রয়েছে বলে মনে করে আদালত। ফি বছর এই একই কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, নিয়মমাফিক তা উপেক্ষাও করা হয়। যার ফলে রাজধানী এবং লাগোয়া এলাকা বিষ-ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়।
সুপ্রিম কোর্ট সে কারণে আপ সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফতরের অধীন দিল্লি পুলিশকে তাড়াতাড়ি এই নির্দেশ উপেক্ষা করার জবাব দিতে বলেছে। এ বছর বাজি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ কার্যকর করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? একইসঙ্গে আগামী দেওয়ালিগুলিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে কী পরিকল্পনা আছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।