পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের হাসপাতালগুলির পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। এ নিয়ে রাজ্যপাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাজ্য সরকার কীভাবে অতিরিক্ত চিকিৎসক-আধিকারিক নিয়োগ করে, সেই নিয়ে প্রশ্নও তোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর
।শুক্রবার ছিল ভার্চুয়াল সভা। চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট-এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন হয় এদিন ।ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে পেয়ে সোজা রাজ্যপালের নামে নালিশ ঠুকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ক্যাম্পাস উদ্বোধনে তাঁকে ভাষণ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর সময় তাঁর পদবি বলতে ভুলে যান সঞ্চালিকা। তাঁকে মৃদু খোঁচা দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘সঞ্চালিকাকে ধন্যবাদ। তবে তিনি হয়তো আমার পদবি ভুলে গিয়েছেন। সেটা নার্ভাসনেস থেকেও হতে পারে।”
মমতা বলেন, করনাকালে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে আমরা বাইরে থেকে চিকিৎসক নিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যপাল সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি জানতে চান, এটা কীজন্য করা হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রী যেখানে এই ধরনের নিয়োগে সম্মতি দিয়েছেন, সেখানে রাজ্যপাল কীভাবে প্রশ্ন তোলেন, ভার্চুয়াল উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা। মোদি মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ শুনলেও এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
শুক্রবার ভার্চুয়াল সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘‘বেসরকারি সংস্থা থেকে আধিকারিক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল প্রশ্ন করেছেন, বিস্তারিত কাগজ দেখতে চেয়েছেন। কিন্তু উনি জানেন না কেন্দ্রের পরামর্শ মেনেই নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’মমতা আরও বলেন, ‘‘আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু কেন্দ্রের পরামর্শ আমরা নব্বই শতাংশ মেনে চলার চেষ্টা করি।’’
শুক্রবার এই ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সিট বাড়ানোরও আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি রাজ্যে আরও আইএএস ও আইপিএস আধিকারিক নিয়োগের বিষয়েও দাবি জানান তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনস্ত এই হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ১০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে। চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের নতুন ক্যাম্পাসে থাকছে ৪৬০টি বেড। ১০টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটারও রয়েছে।